×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-১৭
  • ১০২৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- সাত বছর ধরে চলা সিরিয়া যুদ্ধে ১০ লক্ষাধিক মানুষ পাশের দেশ লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে। এসব শরণার্থীর অধিকাংশই যুদ্ধের সহিংসতা থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়লেও আবার অনেকে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। বৈরুতে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া ২৩ বছর বয়সী এক সিরিয়ান নারী বলেন, ‘সিরিয়া সরকারের ধারণা ছিল আমি সরকারবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলাম। এজন্য আমাকে কিছুদিন জেলেও থাকতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, আসাদ সরকারের অধীনে সিরিয়ানদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। সরকারের বিরোধিতা করলেই নানাভাবে হয়রানি করা হয় সিরিয়ানদের। ওই নারী আরও বলেন, ‘আসাদ সরকারের অধীনে সিরিয়া, কিন্তু বিদেশি শক্তিরা সিরিয়ায় গিয়ে সেখানকার অবস্থা আরও খারাপ করেছে।’ সম্প্রতি সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে ও ফ্রান্সের অভিযানকে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান বললেও সিরিয়ানরা সেরকম মনে করে না। বৈরুতের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির সিনিয়র ফেলো রামি কৌরির মতে পশ্চিমারা এই হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আঞ্চলিক প্রতিপত্তি অক্ষুন্ন রাখতে চাইছে। কৌরি বলেন, ‘আসাদ সরকারের মিত্র রাশিয়া, ইরান ও হিজবুল্লাহ জঙ্গিরা এই অঞ্চলে শক্তিশালী অবস্থান নিক তা পশ্চিমারা চায় না।’ যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রভাব ধরে রাখার একটি কৌশল বলেও মনে করেন কৌরি। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল শুধু সিরিয়ার রাসায়নিক পরীক্ষাগারে আঘাত করলে খুব একটা প্রতিক্রিয়া হয়তো হবে না, কিন্তু হিজবুল্লাহর ওপর বা ইরানে যদি মিসাইল হামলা হয় তাহলে ইরানের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে পারে। এই অঞ্চলে অনেক বছর ধরেই এই অস্থির অবস্থা চলছে আর খুব দ্রুত হয়তো এই অবস্থার উন্নতি হবে না।’ আসাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনের শুরুতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এমন একজন এখন বৈরুতের ক্যাম্পে থাকা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি ২০১৪ সালে সিরিয়া ছাড়েন। তিনি মনে করেন সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলা কোনোভাবেই আসাদ সরকারকে হটাতে সহায়তা করবে না। তিনি বলেন, ‘এখানকার অধিকাংশ শরণার্থীই তাদের নিজেদের দেশে ফিরতে চায়। কিন্তু তারা ফিরে গিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা চায়। আর আসাদ সরকারের অধীনে সেটি অর্জন করা সম্ভব না। আর এখন সিরিয়ায় যে পশ্চিমা হামলা চলছে সেটি আসাদ সরকারের হত্যাকাণ্ডকে শুধু অন্য একটি রুপ দিচ্ছে। এভাবে কখনো সিরিয়ায় শান্তি ফিরবে না।’ দামেস্কের মানুষ সিরিয়া যুদ্ধে আসলে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে দামেস্ক থেকে বৈরুতে আসা একজন নারী বলেন, ‘মিডিয়ায় যতটা দেখানো হচ্ছে দামেস্কে আসলে ততটা প্রভাব পড়ছে না। সেখানকার অধিকাংশ মানুষই স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যাচ্ছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat