×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৩-০৫
  • ২৩৪৩৫৯১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ছয়টি হাতি উপহার দিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। গতকাল মঙ্গলবার মস্কো সফরের সময় এই উপহার প্রদান করেন তিনি। রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ‘তাস’ আজ এই খবর জানিয়েছে।

সম্প্রতি রাশিয়ার কাছ থেকে ছয়টি যুদ্ধবিমান কিনেছে মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, হাতি উপহার দেওয়া রাশিয়া ও মিয়ানমারের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করার একটি প্রয়াস। অনেকে একে ‘হাতি কূটনীতি’ বলেও উল্লেখ করছেন।

মঙ্গলবার ক্রেমলিনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইং। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, মিয়ানমারে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে একটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেন তিনি।

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি রোসাটমের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে ১শ’ মেগাওয়াটের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এই কেন্দ্র নির্মাণ শেষে পরিচালনার দায়িত্বও রোসাটমের হাতে থাকবে।

বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের ২৫তম বার্ষিকীর কথা স্মরণ কওে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তির রজতজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি। মিয়ানমার ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দিন দিন আরো শক্তিশালী হবে।’

পুতিন আরো বলেছেন, ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপহারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আপনার এই বন্ধুত্বপূর্ণ উপহারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। হাতিগুলো ইতোমধ্যেই মস্কোর চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের দুই প্রধান মিত্র হচ্ছে চীন ও রাশিয়া। ২০২১ সালে জেনারেল মিন অং হ্লেইং সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর মস্কো প্রকাশ্যে জান্তা সরকারকে সমর্থন জানায়।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য অন্যতম প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। সামরিক সহায়তার পাশাপাশি কৌশলগত সহযোগিতাও বাড়িয়েছে দুই দেশ।

আগামী ৯মে রাশিয়ার জাতীয় দিবস উপলক্ষে মস্কোতে সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এই কুচকাওয়াজে অংশ নিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। জেনারেল মিন অং হ্লেইং আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat