×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৩-১৯
  • ৫৪৬৫৫৯১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় রাতের বেলা ব্যাপক হামলার পর মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘এ হামলা কেবল শুরু। হামাসের সঙ্গে ভবিষ্যতের সমঝোতা কেবল গুলির মাধ্যমেই হবে।’

গাজা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটিই (সোমবার রাতে সংঘটিত হামলা) সবচেয়ে বড় হামলা। এতে গাজা উপত্যকায় ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় হামাস আমাদের বাহুর শক্তি অনুভব করেছে। আমি আপনাদের এবং তাদের প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, এটি কেবল শুরু।’

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এর অগ্রগতি স্থরিব হয়ে পড়েছে। যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতির নতুন ধাপে যাবে কি না, তা নিয়ে ইসরায়েল ও হামাস একমত হতে পারছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, ‘এখন থেকে আলোচনা কেবল গুলির মাধ্যমেই হবে। বাকি জিম্মিদের মুক্তির জন্য সামরিক চাপ অপরিহার্য।’

২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে। এ ঘটনা যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল।

এদিকে ইসরায়েলের হামলার পর হামাস এখন পর্যন্ত সামরিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এক বিবৃতিতে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোকে তাদের মিত্রদের দ্বারা ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের সিনিয়র পলিসি ফেলো হিউ লোভাট এএফপিকে বলেছেন, ‘হামাস আর কোনো যুদ্ধে টেনে আনতে চায় না।’

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধে ফিরে আসার বিষয়টা ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘সম্পূর্ণ সমন্বয়’ করেই হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বৈরিতা পুনরায় শুরু করার জন্য হামাস সম্পূর্ণরূপে দায়ী।’

জাতিসংঘ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবার তাদের স্বজনদের পরিণতির আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাছে সহিংসতা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছে।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, হামাস ইসরায়েলের জিম্মিদের মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকৃতি জানানোর পর হামলা চালানো হয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সহিংসতা পুনরায় শুরু করলে অবশিষ্ট জীবিত জিম্মিদের ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়া হবে।

হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি এএফপিকে বলেছেন, হামলার লক্ষ্য ছিল ‘গাজার রক্তে লেখা আত্মসমর্পণ চুক্তি চাপিয়ে দেওয়া’।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ‘হামাসকে বুঝতে হবে যে খেলার নিয়ম পরিবর্তিত হয়েছে।’ জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ‘সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস’ চালিয়ে যাবে বলে তিনি হুমকি দিয়েছেন।

দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ধারণ করা এএফপির ফুটেজে দেখা গেছে, লোকজন ছোট শিশুসহ আহতদের স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। সাদা কাফন দিয়ে ঢাকা মৃতদেহগুলো হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।

হামাস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে গাজায় হামাসের সরকার প্রধান এসাম আল-দালিসসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat