×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২৫-০৪-২৭
  • ২৩৩৪৩৪৬৭৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বিচার ব্যবস্থা সংস্কারে করণীয় সম্পর্কে ব্লাস্টের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
বিচার ব্যবস্থা সংস্কারে করণীয় সম্পর্কে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্লাস্ট আজ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ‘বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও জরুরি করণীয় : প্রসঙ্গ সুপ্রিম কোর্ট’ শীর্ষক আইনজীবীদের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

ব্লাস্টের পক্ষে আইনজীবীদের মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনা করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

সভায় আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোশাররফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট এস হাসানুল বান্না, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন, ড. কাজী জাহেদ ইকবাল, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল।

সভায় অংশগ্রহণকারী আইনজীবীবৃন্দ বিচার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দাখিলকৃত সুপারিশসমূহ দ্রুত বাস্তবে পরিণত করতে দাবি তোলেন।

সভায় বক্তারা বিচার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দাখিলকৃত প্রতিবেদনের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার আলোচনায় মামলার পদ্ধতিকে অনলাইনের মাধ্যমে সহজিকরণ, দুর্নীতিমুক্ত কোর্ট ব্যবস্থাপনা, প্রতিবন্ধী বান্ধব আদালত অবকাঠামো গঠন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, আদালতের বেঞ্চ পুনর্গঠন নীতিমালা, দ্রুত রায় ও আদেশ প্রাপ্তির বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করেন।

তারা সুপ্রিম কোর্ট প্রসঙ্গে মোট ৩৭টি সুপারিশের মধ্যে ১৪টি খুব স্বল্প সময়ে প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে আলোচনায় তুলে ধরেন।

আলোচকরা বলেন, পরীক্ষামূলক ভাবে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কোর্টে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার প্রচলিত আছে। আর সেহেতু বিচার প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগে খুব সহজেই বিচারিক প্রক্রিয়ায় সামগ্রিকভাবে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার প্রচলন করা সম্ভব।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল বলেন, ২০০০ সালে সরকার আইনগত সহায়তা ব্যবস্থা চালু করে এবং আইনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রাখা হয়। মামলার চাপ কমাতে আদালতকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থায় উৎসাহিত করা প্রয়োজন। প্রযুক্তি ব্যবহারে ই-জুডিশিয়ারি ও ভার্চুয়াল কোর্ট প্রসারে মানসিকতার পরিবর্তনের ওপরও তিনি গুরুত্ব দেন।

ড. কাজী জাহেদ ইকবাল বলেন, হাইকোর্টে জামিন প্রাপ্তির পর জেল হেফাজত হতে মুক্তি পাওয়া উক্ত ব্যক্তির আইনগত অধিকার, তাই উক্ত জামিন আদেশ স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত কোন আইনজীবী (অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড) সনদ পাঠিয়ে কোনো ব্যক্তির জেল মুক্তি আটকিয়ে রাখা কোনোভাবেই আইন সম্মত নয়।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসাইন শাওন প্রতিবেদনের অনেক সুপারিশ এমন আছে যেগুলো স্বল্প সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং যার জন্য সংবিধান বা আইন পরিবর্তনও করতে হবে না, অথচ এখন পর্যন্ত একটি বিষয়েও উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেয়া হয়নি তাই দ্রুত প্রশাসনিক উদ্যোগের মাধ্যমে এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বার কাউন্সিলের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তিতে নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতার অভাব রয়েছে। অতীতের মতো এখনো শুনানির দিনেই আদেশ প্রস্তুত করার প্রচলন যেন চালু হয়। সেইসঙ্গে অ্যাফিডেভিট ও ওকালতনামা ব্যবহারে অনিয়ম এবং মামলার চাপে মূল আইন চর্চা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাই এসব অব্যবস্থাপনা আদালত প্রাঙ্গণে স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনা হয়ে গেছে যা পরিবর্তন প্রয়োজন।

কার্যকর সংস্কারের জন্য কঠিন পদক্ষেপের পরিবর্তে সহজ ও বাস্তবমুখী পদ্ধতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার করার আমাদের যে সুযোগ এসেছে তাকে কাজে লাগানো খুবই জরুরি। হাইকোর্টের বিচারাধীন মামলা স্থগিতাদেশ ছাড়া যদি স্থগিত করা না হয় তার জন্য অনুশীলন নির্দেশনা প্রদান করা উচিত।

উল্লেখ্য যে, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করে অক্টোবর ২০২৪ সালে এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় ২০২৫ এর জানুয়ারিতে। যেহেতু স্বল্প সময়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়েছে তাই অনলাইনের মাধ্যমে মতামত সংগ্রহ এবং সেসব মানবাধিকার সংগঠন আইন ও আদালত নিয়ে কাজ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সুপারিশসমূহের সঠিক বাস্তবায়ন করা হলে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat