×
ব্রেকিং নিউজ :
গণতান্ত্রিক উত্তরণকে কোনোভাবেই রুদ্ধ করা যাবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে : পার্বত্য উপদেষ্টা সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি: প্রধান উপদেষ্টা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিজয় বইমেলা একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা শরিফ ওসমান হাদির অকাল প্রয়াণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ভেন্যু পরিদর্শন করলেন বিএনপি নেতারা ছায়ানট ভবনে হামলা, সিসিটিভি দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে : সংস্কৃতি উপদেষ্টা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন ‘বেশ স্থিতিশীল’: ব্যক্তিগত চিকিৎসক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ভূমি উপদেষ্টার সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১২-১৯
  • ৮৯৮৭৯৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের আঞ্চলিক শাখা আইএস-খোরসান (আইএস-কে)-এর এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান।

আজ শুক্রবার পাকিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী দলের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই গ্রেফতারের খবর সামনে আসে।

ইসলামাবাদ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

গ্রেফতার হওয়া ওই নেতার নাম সুলতান আজিজ আজম। তিনি আইএস-কে’র মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। গত নভেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৫ সালের ১৬ মে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পাকিস্তানের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘আজম কেবল মুখপাত্রই ছিলেন না, বরং এই অঞ্চলে গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো।’

তিনি আরও জানান, আজমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শুরু হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানগুলো যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য এতদিন এই গ্রেফতারের খবর গোপন রাখা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তান, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো ভয়াবহ কিছু হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস-কে। ২০২৪ সালের মার্চে মস্কোর একটি কনসার্ট হলে ভয়াবহ হামলায় ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহতের ঘটনায় এই গোষ্ঠীটি জড়িত ছিল। 

এছাড়া ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে এবং পাকিস্তানে বেশ কিছু প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে তারা।

তবে আজমকে ঠিক কোন দেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট কিছু জানানো হয়নি।

তালেবান কর্তৃপক্ষ বরাবরই নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে অঙ্গীকার করে আসছে এবং তারা আইএস-কে ও আফগানিস্তানে সক্রিয় অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। 

অন্যদিকে, পাকিস্তান অভিযোগ করে আসছে, তালেবানরা তাদের মাটিতে জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। এই ইস্যু নিয়ে দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে এবং সীমান্তে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান ও তালেবান-উভয় পক্ষের অভিযানের ফলে আইএস-কে’র সক্ষমতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। 
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অভিযানের কারণে আইএস-কে’র শক্তি কমলেও গোষ্ঠীটি এখনো টিকে আছে।’ ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে তাদের প্রায় ২ হাজার সদস্য রয়েছে।

গোষ্ঠীটির নেতারা এখন নতুন সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং আফগানিস্তানের বাইরে হামলা চালানোর জন্য ‘স্লিপার সেল’ নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক-ট্যাংক জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, আজমের বাড়ি আইএস-কে’র শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে। ২০১৫ সালে আইএস-কে’তে যোগ দেওয়ার আগে তিনি একজন কবি ও লেখক হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat