×
ব্রেকিং নিউজ :
দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ৬৪ জেলার স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি উল্লাপাড়ায় জামাত নেতার সাথে ছবি ভাইরালের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন দিনাজপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী জেলহাজতে কুমিল্লায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন রাঙ্গামাটিতে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন স্কাউটিংয়ের মূল দর্শন, কর্মসূচি ও কার্যক্রমগুলোতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহবান শিক্ষামন্ত্রীর বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
  • প্রকাশিত : ২০২০-১১-২৬
  • ৯৬৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশী-মার্কিন বিজ্ঞানী মনোলিনা বিন্নি চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে গোটা বিশ্ব জুড়ে অনিশ্চয়তার মুখে সবার মনে আশা ও সাহস জাগিয়ে তোলার প্রচেষ্টায় ‘আমি আলো’ শিরোনামে একটি বাংলা গানের ভিডিও প্রকাশ করেছেন।
অক্সফোর্ড ন্যানোপোর টেকনোলজির অণুজীববিজ্ঞানী ২৯ বছর বয়সী মনোলিনা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সহশিল্পীদের নিয়ে তার ৩.৩৩ মিনিটের এ পারফরমেন্সে বাংলার সমৃদ্ধ বাউল ও লোক ঐতিহ্যের প্রতি তার অনুরাগের শৈল্পিক প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
বিজ্ঞানী হিসাবে ডিএনএ/আরএনএ’র পরবর্তী প্রজন্মের অনুক্রমে বিশেষজ্ঞ এ সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘আমি আলো’ নিজের মধ্যে শক্তি ও সাহস খুঁজে পাওয়ার প্রেরণা জুগাবে। এ গানটি এ অন্ধকার ও অনিশ্চিত সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জাগাবে।’
মনোলিনা নিজেই এ গানের গীতিকার, সহ-সুরকার (নিউইয়র্ক সিটির রিচি বেরেটার সাথে) এবং সঙ্গীত আয়োজক। গানটির প্রথম কয়েকটি লাইনের অর্থ দাঁড়ায়: ‘মাথায় নিয়ে এ ভাবনা হাঁটছি আমি, নিজের জন্য আমি নিজেই যথেষ্ট, এ অন্তরে জেনেছি, আমি আলো।’
বিভিন্ন দেশ ও বিচিত্র সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের টেকনিক্যাল ক্রু এবং ব্যাকস্টেজ শিল্পীদের একটি বিশাল দল বাংলায় ভিডিওটি তৈরিতে মনোলিনার সাথে হাত মিলিয়েছেন।
এটি দু’টি ড্রোনের মাধ্যমে ধারণকরা প্রথম বাংলা মিউজিক ভিডিও। একটি ড্রোন একটি অত্যাধুনিক ৮কে ক্যামেরা ধারণ এবং অন্যটি আলোকসম্পাতের জন্য ব্যবহৃত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আউটডোর স্পটে শিল্পী ও সহশিল্পীদের অভিনয়ের সময় ড্রোন দুটি ইউএফও’র মতো উড়ে উড়ে এক পরাবাস্তব আবহ সৃষ্টি করে।মনোলিনা বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্ম নেয়া কোনো ব্যক্তির নির্মিত প্রথম ৮কে ভিডিও। আর এটি হলো ‘আধুনিকতম প্রযুক্তি ও বাংলাদেশের ঋদ্ধ সঙ্গীত ঐতিহ্যের মিলন ঘটাতে মনোলিনার আন্তরিক ইচ্ছার ফসল।
মনোলিনা বলেন, ‘আমি মানুষকে, বিশেষত নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির লোকদের সোচ্চার হতে এবং সমাজে নিষিদ্ধ বিবেচিত হতে পারে এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই।’
তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার এবং ‘আমি চাই যে সকলেই অনুরাগের সাথে এবং অসংকোচে এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হোন।’ তবে তিনি একইসাথে প্রত্যাশা করেন যে সকলেই সদয় মানুষ হবেন।
মনোলিনা বর্তমানে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্সিং এবং বিবর্তন অধ্যয়নের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ট্রান্সমিশন ট্র্যাক করার জন্য বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য ল্যাব এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে পরীক্ষণ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘(একই সাথে) আমি একটি টিমের সাথে কাজ করছি এবং অীণুজীব থেকে শুরু করে মানব জিনোম পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির জিন-সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করতে বিভিন্ন ল্যাবকে সহায়তা করছি এবং আমাদের টিম নাসাকে প্রাণের আদি উৎস সনাক্তকরণে সহায়তা করছে।
তরুণ এ বাংলাদেশী বিজ্ঞানী উল্লেখ করেন যে, মহাকাশে প্রথম ডিএনএ সিকোয়েন্সিং ন্যানোপোর টেকনোলজির মাধ্যমে করা হয়েছিল এবং তিনি এই গবেষণার অংশীজন হতে পেরে গর্বিত।
মনোলিনা বলেন, তিনি একটি ‘সপ্রাণ বস্তুর অন্তর্জাল’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যেতে চান, যা অনেক চিকিৎসাগত প্রয়োগ, ফিটনেস ব্যবস্থাপনা, গুরুতর রোগ মোকাবেলা এবং আরো অনেক বিষয়ের পথ সুগমের সক্ষমতা তৈরি করছে।
তিনি বলেন, ‘একই সাথে শিল্পও আমার কাছে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, শিল্পের মাধ্যমে আমি আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারটি প্রযোগ করতে সক্ষম হয়েছি। আমার চিন্তাভাবনা ও অভিজ্ঞতা সঙ্গীত, নৃত্য, চিত্রকলা ও কাব্য ইত্যাদি বিভিন্ন রূপে প্রকাশ পেয়ে থাকে।
মনোলিনা বলেন, ‘অন্যদিকে, শ্যামাঙ্গী বাঙালি নারী হওয়ায় সংখ্যালঘুদের, বিশেষত তামাটে ও অন্যান্য অশে^তবর্ণের প্রতিনিধিত্ব এবং তাদের সাহায্য করার জন্য আমি নিজের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে চাই।’
স্থপতি পিতা এবং সামাজিক ও পরিবেশগত সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ভূগোলবিদ মায়ের কন্যা মনোলিনা অণুজীববিজ্ঞানে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর আগে ঢাকায় স্কুলে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
মনোলিনা শৈশবে ‘ছায়ানাট’ থেকে সঙ্গীতে তার বুনিয়াদি পাঠ নেন এবং মূলত মরমী সঙ্গীত সাধক লালন শাহ তার ব্যক্তিগত দর্শনে প্রাধান্য বিস্তার করে আছেন। যিনি তাকে অনুদিত সংস্করণের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে লালনের গানের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ায় কাজ করতে তাকে অনুপ্রেরণা জোগান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat