×
ব্রেকিং নিউজ :
স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী ভুটানের রাজাকে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবির রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী কুল চেইন উন্নয়নের জন্য সমন্বিত নীতির বাস্তবায়ন চান শিল্প উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন প্রত্যাহার চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-০২
  • ৮২১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণ বঙ্গের সংযোগ সড়ক খ্যাত নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক প্রশস্ত ও চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এতে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা ।
প্র্রতিদিন সাড়ে আটশ’ যানবাহন চলাচলে ব্যস্ত এ মহাসড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে নিরাপদ যাত্রী পরিবহন এবং দ্রুত পণ্য পরিবহন নিশ্চিত হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ‘বগুড়া-নাটোর জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় ৬২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ মহাসড়ক ১৮ ফুট প্রশস্ততা থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত হবে। এরমধ্যে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে উত্তরা গণভবন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক উভয়পাশে ফুটপাত কাম ড্রেন এবং মাঝে মিডিয়ানসহ চার লেনে পরিণত করা হবে।
৬২ কিলোমিটার মহাসড়কের ৩১ কিলোমিটার নাটোর জেলায় এবং অবশিষ্ট ৩১ কিলোমিটার বগুড়া জেলার মধ্যে। নাটোরের ৩১ কিলোমিটারের মধ্যে ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে কৃষ্ণপুর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এবং ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষ্ণপুর থেকে শেরকোল ব্রিজ পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এরমধ্যে শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে উত্তরা গণভবন পর্যন্ত চার লেন অন্তর্ভূক্ত আছে।
শেরকোল ব্রিজ থেকে চৌগ্রাম পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিবেচনাধীন আছে। এক্ষেত্রে প্রকল্প ব্যয় ৭০৭ কোটি টাকার সাথে আনুমানিক ৪০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৪৭ কোটি টাকা হবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন পেলে ১২ কিলোমিটার চার লেনের কাজসহ নাটোর জেলার অবশিষ্ট পাঁচ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কার শুরু হবে। বগুড়া অংশ থেকে সড়কের নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলেছে বলে জানা গেছে।
শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে গণভবন পর্যন্ত মহাসড়কের চিত্র একেবারে পাল্টে গেছে। বিশাল কর্মযজ্ঞে সড়ক চার লেনে পরিণত হতে চলেছে। বর্তমানে আর্থ ওয়ার্কের কাজ শেষ হয়ে স্যান্ড ফিলিং বেস টাইপ-১ এর কাজ চলছে, একই সাথে চলছে ড্রেন কাম ফুটপাত নির্মাণ কাজ। একইভাবে কাজের দ্বিতীয় প্যাকেজে সিংড়া উপজেলার খেজুরতলা থেকে বন্দর অবদি সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ এগিয়ে চলেছে।
চার লেনসহ ছয় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমাদের সাইটে দুই শিফটে প্রতিদিন গড়ে চারশ’ জনবল কাজ করছে। সুষ্ঠু ও দ্রুততার সাথে কাজ সমাধা করতে আমরা ব্যবহার করছি ছয়টি সয়েল এক্সকাভেটর, ১৫ টনের তিনটি সয়েল কম্পেক্টর, দুইটি করে রোলার ও পুলেন্ডর, একটি করে ডোসার ও মোটর গ্রাডার, ৩২টি ট্রাক ও ট্রাক্টর। পরবর্তী কাজে ব্যবহারের জন্যে প্রস্তুত আছে একটি স্টোন ক্রাশার, চারটি ব্রীক ক্রাশার, দুইটি করে ব্রার্নার ও কমপ্রেসারসহ একহাজার টনের বিটুমিনাস প্লান্ট।
নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মীর হাবিবুল ইসলাম বখতিয়ার বলেন, গুণগতমান নিশ্চিত করে দ্রুততার সাথে নির্মাণ কাজকে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এতেকরে জনসাধারণের নির্মাণ কাজের ভোগান্তি কমবে। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, এ মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও চার লেনে উন্নীতকরণ করা হলে অর্থনৈতিক গতিশীলতার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক উত্তরবঙ্গ বার্তা’র সম্পাদক এডভোকেট মালেক শেখ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় এ মহাসড়কের পুরোটাই চার লেনে নির্মাণ করা উচিৎ। আবার শহরের মধ্যেকার তিন কিলোমিটার চার লেনের সাথে শহরের হাল্কা যানবাহন, বিশেষত এ মহাসড়কের পাশে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাইকেলে চলাচলের জন্যে আলাদা একটি লেন থাকা প্রয়োজন। আশাকরি কর্তৃপক্ষ এ প্রস্তাবনা বিবেচনা করে ডিপিপি পরিবর্তন করে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করবে।
নাটোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মোঃ আমিনুল হক মহাসড়ক নির্মাণ কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, উত্তর বঙ্গের সাথে দক্ষিন বঙ্গের সংযোগ স্থাপনকারী এ মহাসড়ক দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ভবিষ্যতে সড়ক পথে নেপাল আমাদের মংলা বন্দর ব্যবহার করবে। এ প্রেক্ষাপটে মহাসড়কের অংশ বিশেষ চার লেনে উন্নীতকরণ না করে পুরো মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ করা হলে যান চলাচল নিরবচ্ছিন্ন হবে এবং অর্থনৈতিক সুফল প্রাপ্তির পরিধি বাড়বে।
নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহিম বাসস’কে বলেন, গুণগতমান নিশ্চিত করে দ্রুততার সাথে মহাসড়কের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। নাটোরের সিংড়া এলাকার চার লেন বাস্তবায়ন কাজের পরিবর্তিত ডিপিপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিবেচনাধীন আছে। অনুমোদন পেলে এ অংশেও কাজ শুরু করা হবে। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদের মধ্যেই মহাসড়কের সকল প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat