×
ব্রেকিং নিউজ :
দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক সমন্বয় সভা নড়াইলে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯ মেট্রিক টন চাল প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হলেন সৈকত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-১৬
  • ৭২৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ২৮৩তম দিনে ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। পাশাপাশি সংক্রমণের হার কমে বেড়েছে সুস্থতা।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ১৩ জন কম মৃত্যুবরণ করেছে। গতকাল ৪০ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ১৫৬ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬২২ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২৬২ জন কম সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ৮৮৪ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৫১ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ হাজার ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৬৩২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৯ হাজার ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৮৭৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩০ লাখ ২২ হাজার ৫৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৪ লাখ ১১ হাজার ৯৬৬টি হয়েছে সরকারি এবং ৬ লাখ ১০ হাজার ৫৭১টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৩২ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৯ হাজার ৩২ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজারটি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ৭৭ ও বেসরকারি ৬৩টিসহ ১৪০টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ২৫ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৯ হাজার ৫৪ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ২ হাজার ২৯টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৯১১ দশমিক ৪৬ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৫২১ দশমিক ০৫ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪২ দশমিক ০২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ২৭ জনের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, আর নারী ৪ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৪৬২ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৬৯৫ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ২৭ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৬ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৮ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৩ জন; যা দশমিক ৪৬ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ জন; যা দশমিক ৭৭ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৭ জন; যা ২ দশমিক ১৯ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৬৩ জন; যা ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৪৪ জন; যা ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৮৩৪ জন; যা ২৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৮৭০ জন; যা ৫৪ দশমিক ০৮ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন এবং রংপুর বিভাগে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৯০৬ জন; যা ৫৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৩৩০ জন; যা ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪২০ জন; যা ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫১২ জন; যা ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৩১ জন; যা ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৮০ জন; যা ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩২২ জন; যা ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫৫ জন; যা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ২৬০টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৩০ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৩৩০টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২৮৮টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২১৪ জন ও শয্যা খালি আছে ৭৪টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬৮৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ৩১৮ জন ও শয্যা খালি আছে ৩৬৯টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৫টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২৪ জন ও শয্যা খালি আছে ২১টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৫৬৫টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৯০ জন ও শয্যা খালি আছে ৫ হাজার ৯৭৫টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৩৭টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৬৭ জন ও শয্যা খালি আছে ১৭০টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৫১২টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৮৩৮ জন এবং শয্যা খালি আছে ৭ হাজার ৬৭৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৭০টি, রোগী ভর্তি আছে ৩০৫ জন এবং খালি আছে ২৬৫টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৯২টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬৬৭টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৬১৪টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ৬২২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৯৫৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪১৪ জন, রংপুর বিভাগে ৩২ জন, খুলনা বিভাগে ২৬ জন, বরিশাল বিভাগে ২৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮৩ জন, সিলেট বিভাগে ৫৪ জন এবং ময়মনসিংহে ২৭ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৯৩৯ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৯৪ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৩ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪০ হাজার ৮৩৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১৬৩ জন, আর ছাড়া পেয়েছেন ১৫৯ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৩৬২ জন, আর ছাড়া পেয়েছেন ৮১ হাজার ৯১৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৪৪৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ হাজার ৯৪১ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৪৫ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ৯৯৪টি, ৩৩৩ এই হটলাইন নম্বরে ৪ হাজার ৬১৯টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১২৭টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৭৪০টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৮১৯টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ৪১৮ জন, এবং এ পর্যন্ত ৬ লাখ ২৬ হাজার ৭১৩ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ কোটি ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৩২ জন এবং ১৬ লাখ ১৮ হাজার ৩৭৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat