×
ব্রেকিং নিউজ :
শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা ২০২৪ ফিরে গেল মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান ছিল অনন্য : প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ডুপন্ট বাংলাদেশে বর্জ্য পানি পরিশোধন করতে চায় থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ আগামী ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি কমিশনার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান পার্বত্য চট্টগ্রামেও সমানতালে উন্নয়নের গতিধারা এগিয়ে চলছে : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-১৮
  • ৬৯২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, কোভিড-১৯ এর পিক টাইমে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে।
আজ ‘বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট দিবস’ উপলক্ষে সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ প্রধান অতিথি ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ সময় বিচারকগণ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করে কঠিন দুঃসময়েও দেশে বিচারকাজ চালু রেখেছেন যা সারা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এর মাধ্যমে গোটা বিচার বিভাগের দক্ষতা ও সক্ষমতারও পরিচয় ফুঠে উঠেছে।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের আজকের অবস্থানের পিছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানও অনস্বীকার্য।
মন্ত্রী বলেন, সুপ্রিমকোর্টের বিগত ৪৮ বছরের পথচলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বহু উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। দেরিতে হলেও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলার বিচার এবং ১৯৭১-এর মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের অবদান ভুলবার নয়। দেশে বিচারহীনতার যে সংষ্কৃতি তৈরি হয়েছিলো তা থেকে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে এসব হত্যাকান্ডের বিচারের কথা জাতি আজীবন স্মরণ রাখবেন।
আনিসুল হক বলেন, সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিলের রায় একদিকে যেমন বন্দুকের নলের মাধ্যমে অবৈধ ও অগণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীদের বারিত করেছে অন্যদিকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি আজকের বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট সম্পূর্ণ স্বাধীন। কিন্তু এ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য যে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছিল তা স্মরণ না করলে ভবিষ্যত পথচালয় ভ্রান্তি হতে পারে।
তিনি বলেন, স্মরণ রাখতে হবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর দীর্ঘ ২১ বছর একটি মামলা পর্যন্ত রুজু হয়নি। বরঞ্চ এই হত্যাকান্ডের বিচার যাতে না হয় সেজন্য একটি ইনডেমনিটি অর্ডিন্যাস জারি করা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে বহুবার এই কোর্টে এসেছেন। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। তিনি তাঁর পরিবারের হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে পারেননি।
আইনমন্ত্রী বলেন, এক অদৃশ্য অপশক্তির ভয়ে তখনকার কোর্টগুলো এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। পিতার হত্যাকান্ডের বিচার পাওয়ার জন্য তাঁকে সরকারে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। আবার তিনি ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিচারিক আদালতে এই হত্যাকান্ডে বিচারের রায় হলেও তিনি যখন ক্ষমতা থেকে চলে যান তখন সেই অদৃশ্য অপশক্তির প্রচেষ্টায় হাইকোর্টে আবারও এই মামলার বিচার কাজ থেমে যায়।
আনিসুল হক বলেন, আজ দৃঢ়ভাবে বলতে পারি সেই অবস্থাকে পিছনে ফেলে আজকের সুপ্রিমকোর্ট একটি সুদৃঢ় অবস্থানে পোঁছেছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম, এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বক্তৃতা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat