×
ব্রেকিং নিউজ :
রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল দিতে সরকার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে চীনের প্রাদেশিক কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে : মেয়র তাপস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্ট আদেশ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-৩০
  • ৬৭১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারতের গৌহাটিতে সম্প্রতি বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে ভারত যে তালিকা দিয়েছে, সেই তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ সীমান্তে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
বিজিবি পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘সশস্ত্র আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যে তালিকা বিএসএফকে দিয়েছে, সেই তালিকা অনুযায়ি বিএসএফ মহাপরিচালক আস্তানার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেছেন, ভারতের মিজোরাম রাজ্য লাগোয়া বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম সীমান্তে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ তৎপরতা ঠেকাতে বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে ।
আজ বুধবার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে। তাদের ধাওয়া দিলে দুর্গম এলাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। এজন্য বিওপির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ হচ্ছে। সড়ক হলে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি, সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে।’ তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীদের কোন আস্তানা নেই। বাংলাদেশের মাটির এক ইঞ্চি জায়গা সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গৌহাটিতে গত ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম মিজোরামে পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘সশস্ত্র আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা বিএসএফকে দিয়েছেন। তারাও তালিকা দিয়েছে। তাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে কোন কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান বিজিবি প্রধান।
মিজোরাম রাজ্যের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানাগুলো ধ্বংস করার জন্য বিএসএফ প্রধানকে অনুরোধ করেন বিজিবি মহাপরিচালক। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতির’ কথা উল্লেখ করে বিএসএফ মহাপরিচালক ওইসব আস্তানার (যদি থাকে) বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বিজিবি প্রধানকে।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবিকে এখন ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। আকাশ, পানি এবং স্থলপথে বিজিবি স্বয়ংসম্পন্ন হয়ে উঠছে।
বিজিবি’র বিভিন্ন কর্মকান্ডে ২০২০ সালের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চারটি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৫৯ জনকে পদক প্রদান করেন সাবরাষ্ট্রমন্ত্রী। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক সেবা (বিজিবিএমএস) এবং ১৯ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক সেবা (পিজিবিএমএস) দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সীমান্ত রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ও মহান দায়িত্ব বিজিবির ওপর ন্যন্ত। নানান সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষাসহ চোরাচালান, মাদকপাচার ও নারী-শিশুপাচার রোধে বিজিবির সফলতা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদকপাচার রোধে বিজিবি বিশেষ কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ দেশ গঠনমূলক কাজেও বিজিবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিজিবির সার্বিক কল্যাণে ও বিজিবিকে একটি আধুনিক বর্ডার ফোর্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবির সাংগঠনিক কাঠামোতে সংযোজন এনে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও জনবল বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিজিবি এয়ার উইং উদ্বোধন এবং দু’টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার সংযোজনের মধ্য দিয়ে বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিজিবির সকল স্তরের সদস্যদের কল্যাণের জন্যও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রমে আরও গতি আসবে এবং অধিক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat