×
ব্রেকিং নিউজ :
মাদক বিক্রির অভিযোগে ৪০ জন গ্রেফতার শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপি’কে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে আইপিইউ অ্যাসেম্বলি শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার আলেপ্পোর কাছে ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার ৩৬ সৈন্য নিহত হার্ভার্ড লাইব্রেরি বই বাঁধাই থেকে মানুষের চামড়া অপসারণ দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক সমন্বয় সভা নড়াইলে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৩-১৬
  • ৫৩১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে এখন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করা হয়েছে। আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের একথা জানান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: মুরাদ হাসান এবং সচিব খাজা মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নাম পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে লিখেছিলাম, মন্ত্রিপরিষদ সেটি পর্যালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালে তিনি সেটি অনুমোদন দেয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হয়ে গেজেট হয়েছে। এজন্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’ প্রকৃতপক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় তথ্য প্রদান বা সরকারের কাজগুলো জনসম্মুখে তুলে ধরা ছাড়াও সম্প্রচারের কাজটিও করে আসছে, এইজন্য আমরা চাচ্ছিলাম, এই মন্ত্রণালয়ের নাম কাজের সাথে সংগতিপূর্ণ হোক এবং সেই কারণে আমরা নাম পরিবর্তন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করার জন্য আমরা প্রস্তাব করি, জানান তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের নামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম সরকার মুজিবনগর সরকার, যে সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মো: তাজউদ্দীন আহমদ, সেই সরকারের সময়ে এই মন্ত্রণালয়ের নাম ছিল তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়।’
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন, যখন এলোকেশন অভ বিজনেস ঠিক করা হলো তখন এই মন্ত্রণালয়ের নাম দেয়া হয় তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়, পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে এই মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে তথ্য মন্ত্রণালয় করা হয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যেহেতু স¤প্রচারের কাজটি দেখভাল করা আমাদের দায়িত্ব, সেই কারণে কাজের সাথে মিল রেখেই নাম পরিবর্তিত হয়েছে। এছাড়া ভারত ও পাকিস্তানে এই মন্ত্রণালয়ের নাম তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়। ‘৮২ সালে এ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনটা আমি মনে করি যথাযথ ছিল না এবং কাজের ক্ষেত্র আমাদের একই আছে, কিন্তু এ নিয়ে নানা সময়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয় সেই বিভ্রাস্তিএখন থাকবে না’ বলেন ড. হাছান।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘এই মুজিববর্ষে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে পরিপূর্ণভাবে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ফাইনাল রিকমেন্ডেশন দিয়েছে জাতিসংঘ। বড়ই তাজ্জবের বিষয়, জাতির জীবনে এতবড় একটা সফলতা এলো বিএনপি এটি নিয়ে অভিনন্দন দিল না, সরকারকে অভিনন্দন দেয়া তো দূরের কথা, এই জাতিকে অভিনন্দন দিতেও রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে।’
যারা ব্যর্থ ছিল তারা সবসময় সবকিছুর মধ্যেই শুধু ব্যর্থতা দেখে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন দেশ পরিচালনা করেছে, তারা তো চরম ধরণের ব্যর্থ ছিল। কিন্তু দেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানানোর ব্যাপারে এবং সরকারের সাথে হাওয়া ভবন খুলে সমান্তরাল একটি সরকার পরিচালনায় সফল ছিল। দেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য বানানোর ক্ষেত্রে তারা সফল ছিল। পাঁচশ’ জায়গায় একযোগে বোমা হামলা, একুশে আগস্টে বোমা হামলা, আদালতের মধ্যে বোমা হামলা, বিচারককে বোমা মেরে হত্যা এগুলোর ব্যাপারে তারা খুব সফল ছিল। বাকি সব ব্যাপারে তারা ছিল ব্যর্থ। এই জন্য তারা সবকিছুতেই ব্যর্থতা দেখার চেষ্টা করে।’
দেশ যে আজকে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি বিএনপি দেখেও না দেখার ভান করে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা না দেখলেও, পৃথিবী কিন্তু দেখছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সফলতার জন্য প্রশংসা করেছে, জাতিসংঘ প্রশংসা করেছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এখন যেটি করার চেষ্টা করছে, সেটি হচ্ছে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো। তিস্তা চুক্তির ব্যাপারের অনেক দূর এগিয়েছি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আমাদের এ ব্যাপারে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু ভারতের সংবিধান অনুযায়ী এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমোদন লাগে। সুতরাং এখানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ব্যর্থতা নাই, একাগ্রতা আছে। রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেলে সেটি হবে। এটি বিএনপি বুঝেও না বুঝার ভান করে। অপ্রাসঙ্গিক হলেও এটিকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা করছে। আসলে বিএনপি কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না, খড়কুটো ধরেই ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে।’
বেগম জিয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত বেগম খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাননি, আদালত কর্তৃক খালাসও পাননি। প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রদত্ত নিজ ক্ষমতা বলে আইনগতভাবে তার শান্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন, পরে আবার ছয় মাসের জন্য এবং তৃতীয় দফা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। আমি মনে করি এতে সরকারকে, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির একটা অভিনন্দন দেয়া প্রয়োজন ছিল। প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিকটা বিবেচনা করে বেগম খালেদা জিয়াকে তার শাস্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু বিএনপি সেই ধন্যবাদ দিতে ব্যর্থ হয়েছে, ধন্যবাদ দেয়ার সংস্কৃতিটা তারা লালন করে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat