×
ব্রেকিং নিউজ :
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সমাধিতে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারের শ্রদ্ধা গোপালগঞ্জে গ্রাম পুলিশের 'বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স ' শুরু মারমাদের জল উৎসবের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো পাহাড়ের বৈসাবী উৎসব বরগুনায় সাংসদকে সংবর্ধনা ও মেয়র কাউন্সিলরদের অভিষেক বিদেশে কর্মী প্রেরণে রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানালেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আলবার্টা পার্লামেন্টে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির কৃতি শিক্ষার্থীরাই স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ : স্পিকার বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত রাউন্ডের খেলা ২০ এপ্রিল
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৫-২৬
  • ৬২৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোলা জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারে নিম্মাঞ্চলের ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। এলাকাগুলো হচ্ছে সদর উপজেলার রামাসপুর, কাচিয়া, রাজাপুর, ভেদুরিয়া ও পূর্ব ইলিশা। বোরহানউদ্দিনের বড় মানিকা ও হাসান নগর। দৌলতখানের চর টবগী, চর মেদুয়া, মদনপুর, হাজিপুর, ভবানিপুর, সৈয়দপুর ও চরপাতা। তজুমদ্দিনের চাচড়া ও চাঁদপুর।
লালমোহনের লর্ডহার্ডিং ও বদরপুর। চরফ্যাসনের ঢালচর, মুজিবনগর, চরমানিকা, নুরাবাদ, আহমদপুর, জাহানপুর, নীলকমল, চরমাদ্রাজ, কুকরী-মুকরী, নজরুল নগর, চর কলমী ও মনপুরার মনপুরা, হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া, দক্ষিণ সাকুচিয়া, চর নিজাম, কাজির চর ও চর কলাতুলী এলাকা। এছাড়া ঝড়ে গাছের ডালা চাঁপা পড়ে লালমোহনে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপ-পরিচালক মো: আব্দুর রশিদ জানান, জোয়ার এলেই এসব এলাকার মানুষ আংশিক ও সম্পূর্ণভাবে পানিতে আটকা পড়ছেন। জেলায় প্রচন্ড বাতাসের সাথে নদীতে তীব্র ¯্রােত রয়েছে। দুূর্যোগপূর্ণ এলাকায় তাদের প্রায় ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। ঝড়ে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রুহুল আমিন জানান, মূলত বাঁধের বাইরের এলাকায় অতি জোয়ারে পানি প্রবেশ করেছে। আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দিয়েছি পানিতে আটকা পড়াদের খাদ্য সহায়তা করার জন্য। ইতোমধ্যে এ উপজেলার ঝ’ঁকিতে থাকা প্রায় ৬ হাজার মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনা খাবার ও খিচুড়ি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ে ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা তৈরিরও কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
মনপুরার ইউএনও মো: শামিম মিঞা বলেন, মনপুরায় লোকালয়ের ভেতরে কিছু এলাকায় পানি ভাটার সময় নামছেনা। ঝড়ের প্রভাব শেষ হলে হয়ত পানি নেমে যাবে। এছাড়া এখানকার ভেড়িবাঁধের ৮ টি পয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকায় সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে উত্তর সাকুচিয়া ও হাজিরহাট সংযোগ সড়ক। ফলে এ দুই এলাকার সাথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মনপুরার চর কলাতুলী এলাকার বাসিন্দা জাবেদ মাঝি ও রহমত আলী জানান, নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে জোয়ার এলে তাদের ঘরের নিচ পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যায়। এতে করে চরম দুূর্ভোগের মধ্যে তাদের থাকতে হচ্ছে।
চরফ্যাসন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার থেকেই পানির অসম্ভব ¯্রােত রয়েছে। একইসাথে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তাই মানুষ আতংকের মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে তার এ এলাকা থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষকে নিরাপদে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে উপক’লের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিং চালাচ্ছে সিপিবি, তথ্য অফিস ও রেডক্রিসেন্ট এর সদস্যরা। এছাড়া গত ২দিন যাবত এখানে ঝড়ো হাওয়াসহ থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অধিকাংশ মাছ ধরার নৌ যানই নিরপদে তীরে অবস্থান করছে। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের নৌ যান চলাচল। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় মোট ৭৬ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্যালাইন, ওষুধসহ অন্যান্য ব্যবস্থা। জেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। মাঠে কাজ করছে মোট ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। জরুরী প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ১৪টি টিম। প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় আলাদা আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat