×
ব্রেকিং নিউজ :
রাঙ্গুনিয়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং (টিএল)-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরিচালকের শ্রদ্ধা জয়পুরহাট রেলের ৭২০০ স্কয়ার ফিট জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে কিরগিজস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ আনু মুহাম্মদের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী এডিসের লার্ভা পেলে জেল ও জরিমানা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র ন্যাপ এক্সপো-২০২৪ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
  • প্রকাশিত : ২০২১-১০-০৯
  • ৭৭৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ২৭তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল ।১৯৯৪ সালের এ দিনে তিনি মৃত্যু বরন করেন।
এদিকে শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোরআনখানী, শিল্পীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান। ১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট তৎকালীন মহকুমা শহর নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে মাছিমদিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন শিল্পী এস এম সুলতান। তার পিতা মোঃ মেছের আলি  মাতা মোছাঃ মাজু বিবি। চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে পিতা মাতা  আদর করে নাম রেখেছিলেন লাল মিয়া। চিত্রশিল্পী এস, এম, সুলতানের ৭০ বছরের বোহেমিয়ান জীবনে তিনি তুলির আঁচড়ে দেশ, মাটি, মাটির গন্ধ আর ঘামে ভেজা মেহনতী মানুষের সাথে নিজেকে একাকার করে সৃষ্টি করেছেন “পাট কাটা”, “ধানকাটা”, “ধান ঝাড়া”, “ জলকে চলা”, “ চর দখল”, “গ্রামের খাল”, “মৎস্য শিকার”, “গ্রামের দুপুর”, “নদী পারা পার”, “ধান মাড়াই”, “জমি কর্ষণে যাত্রা”, “মাছ ধরা”, “নদীর ঘাটে”, “ধান ভানা”, “গুন টানা”, “ফসল কাটার ক্ষণে” , “শরতের গ্রামীণ জীবন”, “শাপলা তোলা” মত বিখ্যাত সব ছবি। ১৯৫০ সালে ইউরোপ সফরের সময় যৌথ প্রদর্শনীতে তার ছবি সমকালনী বিশ্ববিখ্যাত চিত্র শিল্পী পাবলো পিকাসো, ডুফি, সালভেদর দালি, পলক্লী, কনেট, মাতিসের ছবির  সঙ্গে প্রদর্শিত হয়। সুলতানই একমাত্র এশিয়ান শিল্পী যার ছবি এসব শিল্পীদের ছবির সঙ্গে একত্রে প্রদর্শিত হয়েছে। কালোর্ত্তীন এ চিত্রশিল্পী ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আটির্ষ্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে রাষ্টীয় ভাবে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়েছিল।
বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল শিশুদের নিয়ে। নিজের সঞ্চিত অর্থে শহরের মাছিমদিয়া এলাকায় চিত্রা নদীর পাড়ে নিজ বাড়িতে শিশুস্বর্গ নির্মাণ কাজে হাত দেন। নির্মাণ করেন ভাসমান শিশুস্বর্গ নামের একটি নৌকা। শিল্পীর ইচ্ছা ছিল এ নৌকায় করে কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে নিয়ে প্রকৃতি দেখবেন। শিশুরা প্রকৃতির সঙ্গে পরিচিত হবেন। প্রকৃতির  ছবি আঁকবেন। কিন্তু তার সেই সাধ পূর্ণ হওয়ার আগেই ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিল্পী সুলতান মৃত্যুবরণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat