×
  • প্রকাশিত : ২০২১-১০-২৩
  • ৭৬৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, অন্য ধর্মের প্রতি আঘাত করার অধিকার কারো নেই। তিনি বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনায় মুল আসামি আটক হয়েছে, আমাদের কুরআনকে তিনি অসম্মানিত করেছেন। আর আমরা অনেকে  ধর্মের কথা বলে সারাদেশে মন্দিরে মন্দিরে হামলা চালিয়ে দাঙ্গা শুরুকরে দিয়েছে। অথচ অন্য ধর্মের প্রতি আঘাত করার অধিকার কারো নেই।’
হানিফ আজ বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এর আলকরণ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা তারেক সোলেমান সেলিমের নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শোকসভার সদস্যসচিব জামশেদুল আলম চৌধুরীর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক শোকসভা কমিটির চেয়ারম্যান ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু।
মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রচিত আমাদের সংবিধানের চার মূলনীতি ছিলো-ধর্মনিরপেক্ষতা মানে অসাম্প্রদায়িকতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৯ মাস যুদ্ধ করে আমরা এই সংবিধানের চার মূলনীতি রচনা করেছিলাম।
তিনি বলেন, লোকজ সংস্কৃতিতে আমাদের সামাজিক বন্ধন ছিল। সেই সামাজিক বন্ধনে অসাম্প্রদায়িকতার বিষ বপন করে দিয়েছে একটি গোষ্ঠি। অথচ বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, একজন ব্যক্তি যদি পরপর চার চার বার কাউন্সিলর নির্বাচত হন। তাহলে বুঝতে আর বাকি থাকে না তিনি কত বড় জনপ্রিয় কাউন্সিলর ছিলেন। হানিফ  প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা তারেক সোলেমান সেলিমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
একে এম আফজালুর রহমান বাবু বলেন, ‘সেলিম আপাদমস্তক একজন সংগঠক। কঠিন সমস্যার সমাধান দিতেন এক মিনিটেই। তিনি একজন মানবিক মানুষ ছিলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর চারবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। চট্টগ্রামের মানুষ তাঁকে  ভুলতে পারেনি। তিনি চট্টগ্রামের মানুষের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন।
শোকসভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য  মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, কাউন্সিলর আতা উল¬াহ, কাউন্সিলর নুরুল আলম, কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন ইকবাল, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শহিদুল চৌধুরী রাসেল, সিটি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা সাদেক হোসেন পাপ্পু  প্রমূখ।
সভায় আবেগঘন বক্তব্য রাখেন তারেক সোলেমান সেলিমের পুত্র মহিম ইসলাম রাতুল।  গত ১৮ জানুয়ারি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তারেক সোলেমান সেলিম মারা যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat