×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৪-১৯
  • ১২০৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন লুৎফি আরা বেগমের মগবাজর এনসিসি ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২৮ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা জালিয়াতি করে স্থানান্তর ও উত্তোলন করেছেন তার ভাই মোবাশ্বের আলী আহমেদ লিটন । প্রতারণামূলক এ ঘটনার অভিযোগে লুৎফি আরার মেয়ে আফসানা রহমান বাদী হয়ে মামা মোবাশ্বের আলী আহমেদ লিটন (৫২)কে আসামী করে বিজ্ঞ ২১নং চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করেন।
যার সি আর মামলা নং- ৫৫৪/২০২১ (হাতিরঝিল), তারিখ- ১৪/১০/২০২১, ধারাঃ ৪২০/৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৩৪ পেনাল কোড।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বনশ্রী, ঢাকাকে মামলাটির তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ করেন। পিবিআই মামলার তদন্তে জালিয়াতির মাধ্যমে বোনের অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেয়ে ১১৭ পাতার প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেন। যার স্মারক নং- পিবিআই/মামলা/২০২২/৩৪৭/১(৫)/সিআরও (এসআইএন্ডও/ঢাকা মেট্রো), তারিখ-১৫/০৩/২০২২ইং।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর এবং লুৎফি আরার অর্থ সম্পদ আত্মসাতের সাথে মোবাশ্বের আলী আহমেদ লিটন এর সাথে লুৎফি আরার একমাত্র ছেলে মাহমুদুর রহমান ( রলিভ) (৩৬) এর সম্পৃক্ততা থাকায় মামলায় তাকেও যুক্ত করেছেন।
মামলা সুত্রে জানাযায়, লুৎফি আরা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। এ সুবাধে লুৎফি আরা বেগমের আপন ভাই মোবাশ্বের আলী আহমেদ লিটন তার বাসায় আসা যাওয়া করতেন। বিভিন্ন কাজে ভাইয়ের সহযোগিতা নিতেন। এমনকি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য সম্পূর্ণ চেক বহি ভাইকে দিতেন।
লুৎফি আরা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিগত ০২/০৩/২০১৯ইং তারিখে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল, শাহবাগ, ঢাকায় আইসিইউতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিগত ০৫/০৪/২০১৯ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।
কিছুদিন পর নিহত লুৎফি আরার মেয়ে আফসানা রহমান তার মায়ের এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, মগবাজার শাখা, হাতিরঝিল, ঢাকার সঞ্চয়ী হিসাব -০০১১-০৩১০০৮৫৯৯২ এর হিসাব বিবরনী সংগ্রহ করেন। বিবরনীতে দেখতে পান তার মা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি থাকা অবস্থায় বিগত ০৩/০৩/২০১৯ইং তারিখ অর্থাৎ হাসপাতালের ভর্তির পরদিন তার মামা মোবাশ্বের আলী আহমেদ লিটন লুৎফি আরার স্বাক্ষর জাল করে উক্ত স্বাক্ষর যুক্ত চেক নং- ঝ ৬০১১৮১৯ ব্যবহার করে মাতার একাউন্ট হইতে মোবাশ্বের আলী আহমেদ লিটনের নিজ একাউন্ট নং- ০০১০-০২১০০২১১৯৭৫ তে ২৫ লক্ষ টাকা স্থানান্তর করে এবং আরেকটি স্বাক্ষর যুক্ত চেক নং- ঝ ৬০১১৮২০ ব্যবহার করে ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা নগদে উত্তোলন করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণামূলক ভাবে আত্মসাৎ করেন।
আফসানা তার মায়ের ব্যাংকের হিসাব বিবরনী প্রতারক মামা মোবাশ্বেরকে দেখিয়ে টাকা স্থানান্তর ও উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে অনায়াসে শিকার করে। এসময় মোবাশ্বের তার ভাগ্নি আফসানাকে হুমকি দিয়ে বলে এ ব্যাপারে কোনপ্রকার বাড়াবাড়ি করলে জীবনে মারিয়া লাশ গুম করে ফেলবে।
আফসানা বলেন, আমি কেন মামলা করে তার মুখোশ উন্মোচিত করে দিলাম তাতে প্রতারক মামা এবং আমার ভাই মাহমুদুর রহমান (রলিভ) আমাকে অহরহ ও হত্যার হুমকি যার একাদিক বয়েজ রেকড সংগ্রহে আছে। এবং বন্টনে পা্ওয়া আমার প্ল্যাট দখলের পায়তারা করছে যা মোহাম্মদপুর থানা জিডি নং ৭৮৩ তাং ১০-০১-২০২২ইং। তার পরবর্তী গত ০১ মার্চ ২০২২ ইং মাহমুদুর রহমান (রলিভ) তার নিজ মোবাইল নাম্বার থেকে আমার বাড়ীর দারোয়ান রফিকের মোবাইলের মাধ্যমে ফোনকরে আমার সাথে থাকা ৩ সহকর্মীকে হত্যা ও আমাকে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিলে আমার ৩ সহকর্মী দারোয়ান রফিকের মোবাইল নাম্বার থেকে বয়েজ রেকড উদ্যার করে এনে থানায় অভিযোপত্র জমা দিলেও এখন পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থানা অজ্ঞাত কারনে তার প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্হাই গ্রহন করেন নি। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। প্রতারণার বিচার ও টাকা ফেরত পেতে বিজ্ঞ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি।সুত্র:-সিএনএন বিডি ২৪.কম

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat