×
ব্রেকিং নিউজ :
মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক খনিজ পদার্থ অ্যাসবেসটস আমদানি ও বিপণন নিষিদ্ধের দাবি বিএনপি দুঃখ-কষ্টের যে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিল আজ আর তা নেই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী রমজান, ঈদ ও নববর্ষের অনুষ্ঠানগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে : সাবের চৌধুরী মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ২১-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসা দিবে ক্ষুদে ডাক্তার ঈদ ও নববর্ষে পদ্মাসেতুতে ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা টোল আদায় স্মার্ট মন্ত্রণালয় তৈরি করতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে : প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু ২ মে বিএনপি বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায় : ওবায়দুল কাদের ৩২ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনা : দায়ী চালকের ৩ বছরের সাজা হাইকোর্টে বহাল
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৪-২১
  • ৭৯২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

শেরপুর জেলার নকলায় এক কলেজ ছাত্রীকে (১৬) অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে বাবুল তিলক দাস (২৯) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ- দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একমাত্র আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
বাবুল তিলক দাস পাশবর্তী ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী উপজেলার নয়নবাড়ী এলাকার পরেশ তিলক দাসের ছেলে। রায়ে একইসাথে অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসাথে চলবে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুালের পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, নকলা উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও হাজী জালমামুদ কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী উপজেলার নয়নবাড়ী এলাকার বাবুল তিলক দাস। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট ওই ছাত্রী কলেজে যাবার পথে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল তিলক দাস। কলেজ শেষ হওয়ার পরও ওই ছাত্রী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই কলেজছাত্রী নিজেই তার মায়ের নাম্বারে ফোন দিয়ে জানায় যে বাবুল তিলক তাকে অপহরণ করে গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় আটকে রেখেছে। পরে ওই ঘটনায় কলেজছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বাবুল তিলক দাসকে আসামি করে নকলা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় পরদিন একমাত্র আসামিকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ৩ নবেম্বর একমাত্র আসামি তিলক দাসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন নকলা এসআই নিরঞ্জন দাস। অন্যদিকে হাজতবাসের পর ২০২০ সালের ১২ মার্চ জামিনে মুক্তি পায় তিলক দাস। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিলক দাস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচারিক পর্যায়ে মামলার বাদী, ভিকটিম, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat