জাতির বিবেক হিসেবে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিকে (সুপ্রিমকোর্ট বার) প্রতিষ্ঠা করতে গেলে দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত করতে হবে।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত আজ এক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন।
সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনের ১ নং হল রুমে ‘আইনের শাসন, গণতন্ত্র, স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং স্বাধীন সুপ্রিমকোর্ট বার’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি সংবিধান সংরক্ষণ কমিটি এ অনুষ্টান আয়োজন করে।
গোল টেবিল বৈঠকে বিভিন্ন বক্তারা বলেন, দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, স্বাধীন বিচার বিভাগ, সুস্থ্য রাজনীতির জন্য স্বাধীন বার অপরিহার্য। সুপ্রিমকোর্ট বার এর প্রয়াত সাবেক সভাপতি শামসুল হক চৌধুরীকে স্মরণ করে বক্তারা বলেন, তার নেতৃত্বে আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সুপ্রিমকোর্ট বার জাতির বিবেক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার প্রাঙ্গণে আসতেন নানা বিষয়ে পরামর্শ করার জন্য। সেই সোনালী অতীতে আবার ফিরে যেতে বক্তারা সংশ্লিষ্ট সকলকে সোচ্চার হতে আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন,
আইনের শাসন, গনতন্ত্র, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও স্বাধীন সুপ্রিমকোর্ট বার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিদ্যমান অন্তরায় গুলো দূরীকরণে সংশ্লিষ্টদের যার যার জায়গা থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দলের সমর্থনে সাদা ও নীল প্যানেলের ব্যানারে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিমকোর্ট বার) নির্বাচন বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
সংগঠনটির সভাপতি শাহ আহমেদ বাদলের সভাপতিত্বে গোল টেবিল বৈঠকে বক্তৃতা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এডভোকেট ফজলুর রাহমান, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিষ্টার তানিয়া আমির, এডভোকেট ড.রফিকুল ইসলাম মেহেদী, এডভোকেট জালাল উদ্দীন, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান, মহসিন রশীদ, রাজনীতিবিদ জুনায়েদ সাকি, সুপ্রিমকোর্ট বার এর সহসম্পাদক মাহবুবুর রহমান, এডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ব্যারিষ্টার আশরাফুল ইসলাম আশরাফ প্রমূখ।
গোল টেবিল বৈঠকে লিখিত বক্তৃতা তুলে ধরেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি এ.বি.এম.রফিকুল হক তালুকদার রাজা।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। তিনি বলেন, আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য স্বাধীন সুপ্রিমকোর্ট বারের কোন বিকল্প নেই। রাজনৈতিক প্যানেলের বৃত্ত থেকে বারের নির্বাচনকে মুক্ত করতে পারলেই স্বাধীন সুপ্রিমকোর্ট বার প্রতিষ্ঠা করা যাবে।