×
ব্রেকিং নিউজ :
দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক সমন্বয় সভা নড়াইলে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯ মেট্রিক টন চাল প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হলেন সৈকত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-২৩
  • ৬৪১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার লক্ষ্যে শিগগির ‘ইইউ-বাংলাদেশ মিনিং বিজনেস’ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ইভেন্টের লক্ষ্য হলো- ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ইউরোপের মধ্যে ঘনিষ্ট সহযোগিতা পারস্পরিকভাবে লাভজনক হতে পারে এমন সম্ভাবনাময় বাণিজ্যিক খাতগুলোকে তুলে ধরা।
আজ নগরীর একটি হোটেলে সপ্তম ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট সংলাপের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চেম্বার অব কমার্স- ইউরোচাম প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এর লক্ষ্য বাংলাদেশী ও ইইউ বেসরকারি খাতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরী করা এবং  বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সুষ্ঠু ও টেকসই ব্যবসায়িক সম্পর্কের কল্যাণে ইউরোপের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশী সরকারি ও বেসরকারি খাতের সংযোগকারী উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করা।
এটি ইবিএ-পরবর্তী বাণিজ্যে বাংলাদেশের উত্তরণ সুগম করতেও সাহায্য করবে।
২০১৬ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের সপ্তম পূর্ণাঙ্গ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের লক্ষ্য হলো- যৌথভাবে বাংলাদেশের এক নম্বর বাণিজ্য অংশীদার এবং বাংলাদেশে এফডিআইয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ইইউ থেকে বাণিজ্য সহজতর করা।
২০২১ সালে ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬ বিলিয়ন ইউরো। অন্যদিকে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানি ছিল ৩ বিলিয়ন ইউরো।
প্ল্যানারিতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. তপন কান্তি ঘোষ এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। এতে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সুইডেনের ইইউ কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ইইউ বেসরকারি খাতের কয়েকজন প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন।
উভয় পক্ষ ট্যাক্স ও কাস্টমস, শিপিং ও লজিস্টিকস ও সবুজ ব্যবসায়- এই তিনটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে আলোচনায় অংশ নেয় এবং কিছু পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষই সম্মত হয় যে, এক্সপ্রেস ও নন-এক্সপ্রেস এয়ার কার্গো উভয়ের কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া সহজ করার চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ পরীক্ষা করতে কর ও কাস্টমসের অধীনে একটি যৌথ কমিটি হতে পারে।
শিপিং ও লজিস্টিকসের ক্ষেত্রে পণ্যসম্ভার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বন্দরে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে ইইউর সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের বৃহত্তম প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর চত্বর থেকে অব্যবহাযোগ্য কনটেইনার অপসারণ ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছে।
এছাড়া রেল ও নদী টার্মিনালের মধ্যে খালি কন্টেইনার বিনিময় অনুমোদন দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ কয়েক মাস আগে ইইউর প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই)’র ব্যয় ও সুবিধা মূল্যায়ন করতে একটি জরিপ পরিচালনা করতে সম্মত হয়েছে।
‘সবুজ ব্যবসায়িক অনুশীলন’ বিজনেস ক্লাইমেট সংলাপে একটি নতুন বিষয়, যার অধীনে ইইউ পক্ষ ইউরোপে আসন্ন সাপ্লাই চেইন সুরক্ষায় যথাযথ প্রয়াসের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করে এবং বাংলাদেশী রপ্তানির এক নম্বর বাজার ইইউ’র সাথে সাবলীল বাণিজ্য নিশ্চিত করতে অভিযোজনমূলক পদক্ষেপ উতৎসাহিত করে।
অবশেষে, মিশন প্রধানগণ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নয়নে গঠনমূলকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
২০২৩ সালের প্রথমার্ধে পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat