×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-২৮
  • ৩২৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা প্রস্তাবিত বাজেটকে চ্যালেঞ্জিং, বাস্তবমুখী, কৃষি ও জনবান্ধব বলে উল্লেখ করে বলেছেন, এ বাজেটও শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। এর আগে গত ১৩ জুন সংসদে চলতি অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট পাস করা হয়।
বাজেটের ওপর আলোচনায় আজ অংশ নেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সরকারি দলের বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুল হাই, আসাদুজ্জামান নূর, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, আনোয়ার হোসেন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মমতাজ বেগম এবং গণফোরামের মোকাব্বির খান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, মহামারি করোনার ক্ষতের মধ্যেই রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে সংকটে ফেলেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার এ কঠিন পরিস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরেরর জন্য চ্যালেঞ্জিং হলেও বাস্তবমুখী এ বাজেট দেয়া হয়েছে। তিনি এ জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালকে ধন্যবাদ জানান। 
তিনি বলেন, সরকার করোনার মতো কঠিন পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবেলা করে যেভাবে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি, জীবনযাত্রা চলমান রেখেছে তেমনি এ বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে চলমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলা করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ করোনাকাল সফলভাবে মোকাবেলা করছে। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপে সব খাতে বিশাল প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদানের মাধ্যমে জনগণের জীবন মান ও অর্থনীতিকে সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বাজেট অবশ্যই বাস্তবায়নযোগ্য।  আওয়ামীলীগের গত ১২ বছরে প্রতিটি বাজেটই ৯০-৯৫ ভাগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এ বাজেটও সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বাজেটে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ সঠিক হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বাজেট অনুযায়ী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ ভাগ অর্জন করা সম্ভব হবে।  মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশে রাখাও সম্ভব হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে জাতিকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শত ষড়যন্ত্র মোকাবেলা  করে এ সেতু বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এটা স্বাধীনতার পর জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন।
তিনি বাজেটকে বাস্তবমুখী, কৃষি ও জনবান্ধব বলে উল্লেখ করেন।
বিরোধী দলের উপনেতা প্রস্তাবিত বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলে উল্লেখ করে বলে বলেন, এ বাজেট ঘাটতি বাজেট। বাজেটে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থাৎ দেশীয় ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অধিক ঋণ নিলে বিনিয়োগে প্রভাব পড়বে। আর তাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে না। তিনি বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবেনা বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বাজেট বাস্তবায়ন করতে হলে পরিচালন ব্যয় কমানোর ওপর জোর দেন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সব খাতেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে যোগাযোগ খাতে যে উন্নয়ন হয়েছে অন্য কোন আমলে হয়নি। তিনি তার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন খাতে গত ১৩ বছরের সাফল্য আর উন্নয়নের বিবরণ দেন।
সরকারি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।  দেশের মানুষ এখন পেট ভরে খেতে পাচ্ছেন। জীবন-জীবিকায় দেশে কোন সংকট নেই। এমনকি বৈশ্বিক মহামারির  সময়েও বিভিন্ন দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা হুমকীর মুখে পড়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সময়োচিত পদক্ষেপ নেয়ায় দেশ ও জনগণের জীবন যাত্রায় কোন সংকট হয়নি। সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে অর্থনীতি আর জীবন-জীবিকা সচল রয়েছে। এছাড়া করোনার সময় সফলভাবে জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। আর দ্রুত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা টিকা সংগ্রহ করে জনগণকে টিকার আওতায় নিয়ে আনা হয়েছে। সারা দেশে এ টিকা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আজ সংসদে বাজেট আলোচনাকালে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করে অনন্য ইতিহাস স্থাপন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat