×
ব্রেকিং নিউজ :
স্বাধীনতার ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী নীলফামারীতে গোপন বৈঠককালে জামায়াতের তিন নেতা গ্রেপ্তার রবীন্দ্রনাথ বর্তমানে বিশ্বে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী হাবিবের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগের টিকিট পেল গাজী গ্রুপ টাঙ্গাইলে সম্প্রসারিত হয়েছে আদা ও হলুদ চাষের জমি গোপালগঞ্জে ৬ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড নড়াইলে বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের নিয়ে আর্ট ক্যাম্প চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো শুরু হচ্ছে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৯-১২
  • ৫৬১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধরীর মৃত্যুতে তিনি তাঁর একজন প্রকৃত অভিভাবককে হারিয়েছেন। তিনি দেশের সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে সাজেদা চৌধুরীর বিরাট অবদানের কথা স্মরণ করেন।  
এক শোক বার্তায় সরকার প্রধান বলেন, ‘তাঁর মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো এবং আমরা একজন প্রবীণ রাজনৈতিক নেত্রীকে হারালাম। সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আমি একজন প্রকৃত অভিভাবককে হারালাম।’ 
তিনি বলেন, সাজেদা চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।  
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন যে, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অবর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতীয় অধিবেশনে সভানেত্রী হিসেবে তাঁকে মনোনীত করার ক্ষেত্রে সাজেদা চৌধুরী বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পর থেকে তিনি সাজেদা চৌধুরীকে তাঁর অভিভাবক হিসেবে পেয়েছেন।
এরপর থেকে সংসদের উপনেতা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাজেদা চৌধুরী তাঁর ছায়াসঙ্গী ছিলেন।
শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাজেদা চৌধুরীর দেখা হওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আগ্রহী হন। এরপর ১৯৫৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং এরপর থেকে সকল আন্দোলনেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।  
তিনি আরো বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে সাজেদা চৌধুরী ছিলেন নির্বাচিত সাতজন গণপরিষদ সদস্যের মধ্যে অন্যতম।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তিনি ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 
জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিহত হওয়ার পর সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হন।
তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি সাজেদা চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আজ সকালে রাজধানীর এক হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেত্রী মারা যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat