×
ব্রেকিং নিউজ :
দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক সমন্বয় সভা নড়াইলে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯ মেট্রিক টন চাল প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হলেন সৈকত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৩-১৩
  • ৩৫৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
গত ৬ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ জরিমানার আদেশ দেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসা ভাতার বিষয়ে অর্থ বরাদ্দের অভিযোগে জমির উদ্দিন সরকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর আগারগাঁও থানায় পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরমধ্যে একটি মামলায় জমির উদ্দিনকে  চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা সরকারি কোষাগারে জরিমানা হিসাবে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় জরিমানার টাকা জমা দিলে বাকী চার মামলা থেকেও তিনি খালাস পাবেন বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন।
সোমবার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের আইনজীবী হান্নান ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার জন্য আমরা সোনালী ব্যাংকের চালান কপি পুরণ করেছি। আশা করছি আজই আমরা জরিমানার টাকা জমা দিয়ে দিবো।’
এরআগে গত ২৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ এ রায় দেন। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন বিষয়ে অর্থ বরাদ্দের অভিযোগে জমির উদ্দিন সরকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর আগারগাঁও থানায় পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এসব মামলায় অন্য তিন আসামি হলেন, বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
এ মামলা বাতিলের আবেদন করলে ২০১৬ সালের ১৮ মে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতির গঠিত একক বেঞ্চ মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করেন। এরপরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রায় দেন আদালত।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাবপত্র কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারি পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন বাদি হয়ে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন।
পরে এ পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নেন। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে জমির উদ্দিন সরকার হাইকোর্টে আবেদন করেন।
হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেন। পরবর্তীতে তৃতীয় বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেন। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat