×
ব্রেকিং নিউজ :
সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট এলাকার বাইরে থাকা জমির মালিকদের জরিপ সম্পর্কে জানাতে বিডিএস’র প্রতি নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর গাজাসহ অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যুর কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু যেন বিলীন হয়ে না যায়: দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার : পরিবেশমন্ত্রী পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির কৃষি জমির মাটি কাটার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তে হাইকোর্ট নির্দেশ পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে : নানক গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৫-১৮
  • ৪৫৮৯২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সেবা প্রদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন আইসিটি সচিব  মো. সামসুল আরেফিন।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বৈশ্বিক অভিগম্যতা সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। 
আইসিটি টাওয়ারে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এবং ফ্রেন্ডশিপ (সোশ্যাল পারপাস অর্গানাইজেশন)-এর যৌথ আয়োজনে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
আইসিটি সচিব বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন তখনই সম্ভবপর হবে, যখন নাগরিকের জন্য নাগরিক-বান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সরকারি সেবা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে। এ লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগের সকল ওয়েবসাইট এবং ডিজিটাল সেবা এবছরের মধ্যেই সকলের জন্য অভিগম্য করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি এক্সেসিবিলিটি গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। 
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে জনবান্ধব ডিজিটাল সেবা তৈরিতে বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে।  
এটুআই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গসহ সকল স্তরের জনগণের জন্য বিদ্যমান ওয়েবসাইট ও ডিজিটাল সেবা অভিগম্য করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এটুআই-এর ইনক্লুসিভ ডিজিটাল বাংলাদেশের নানা উদ্ভাবনী কার্যক্রম তুলে ধরেন তিনি। ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ ও ডিজিটাল সেবায় অভিগম্যতা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক। 
২০১২ সাল থেকে সারাবিশ্বে প্রতি বছর মে মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার বৈশ্বিক অভিগম্যতা সচেতনতা দিবস (জিএএডি) পালিত হয়ে আসছে। 
এই দিবসটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সারাবিশ্বে এক বিলিয়নেরও বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অভিগম্যতার ব্যাপারে সকলকে সচেতন করে তোলা। এই বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মধ্যে বাংলাদেশেই বসবাস করে ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি ব্যক্তি। 
এই দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে এটুআই ইতোমধ্যে একাধিক সেমিনার, পরামর্শ সভা আয়োজন করেছে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নীতি নির্ধারক থেকে সাধারণ নাগরিকসহ সকল পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করা।
প্রতিবছরের মতো এবছরও ‘প্রযুক্তি হবে সকলের জন্য প্রবেশগম্য’ এই প্রতিপাদ্যকে  নিয়ে দিবসটি পালিত হলো। 
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট- এটুআই ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
স্থানীয় পর্যায়ে এই দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা প্রতিবন্ধীবান্ধব ওয়েব, মোবাইল অ্যাপ এবং ডিজিটাল সেবাসমূহ সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। এছাড়াও, সেবা প্রদানকারী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্ব স্ব ডিজিটাল সেবা প্রবেশগম্য করার বিষয়ে সচেতনতা পাবে বলে আশা করা যায়।
অনুষ্ঠানে এটুআই এবং ফ্রেন্ডশীপসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat