পাকিস্তানে ২৭০০ নির্বাচনী প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুনসহ একাধিক অভিযোগ
আন্তর্জতিক ডেস্ক:- আগামী ২৫ জুলাই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর সেখানে দ্বিতীয়বারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে চলেছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে । নির্বাচনে জাতীয় পরিষদ (এনএ) ও প্রাদেশিক পরিষদের (পিএ) ১ হাজার ৭০ আসনে লড়বেন ২১ হাজার ৪৮২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে বহু প্রার্থীর বিরুদ্ধেই নানা ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। খবর জিও নিউজের।
খবরে বলা হয়, জিও নিউজের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এমন ২ হাজার ৭২০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ফৌজদারি অপরাধ, ধর্ষণ, দ্বৈত নাগরিকত্ব, মুদ্রা পাচার, নির্যাতন, ঋণখেলাপি, মানব পাচার, খুনসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি), ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান (ইসিপি), জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এফবিআর) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এসব মামলা প্রায়ই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তা ছাড়া এসব অভিযোগ এখনও আদালতে প্রমাণিত হয়নি।
সমীক্ষা অনুসারে, পাঞ্জাব প্রদেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ৫৪৫ আসনের ৯ হাজার ৪৪৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ২৭০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ফৌজদারি অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে তদন্ত চলছে।
একই অভিযোগে তদন্ত চলছে খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের ২ হাজার ৯১২ প্রার্থীর মধ্যে ৪৩৫ জনের বিরুদ্ধে, সিন্ধু প্রদেশের ৪ হাজার ৯৭২ প্রার্থীর মধ্যে ৭৭৫ জনের বিরুদ্ধে, বেলুচিস্তানের ১ হাজার ৮৩৫ প্রার্থীর মধ্যে ২৩৫ জনের বিরুদ্ধে এবং ইসলামাবাদের ৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে তদন্ত চলছে।
সংগৃহীত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এইসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি পাকিস্তানি মুদ্রার বেশি জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।