×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০১৮-১০-২৯
  • ৭৪৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
কি কারনে মেয়েদের তলপেটে ব্যথা হয়?এর লক্ষণগুলো কি কি?
স্বাস্হ্য ডেস্ক:-নারী দেহের প্রজননতন্ত্রের বা তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের মধ্যে পিআইডি বা পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ অন্যতম৷ অধিকাংশ মহিলাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কষ্টে ভুগে থাকেন৷ এই প্রদাহ দুরকম হতে পারে-
  • জনন অঙ্গের নিচের দিকের প্রদাহ।
  • জনন অঙ্গের উপরের দিকের প্রদাহ৷
মেয়েদের তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের কারণ
  • এ রোগের অনেকগুলো কারণের মধ্যে যৌনরোগ যেমন - গণোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য৷ স্বামীর যদি যৌনরোগ থাকে তাহলেও হতে পারে৷ শতকরা ৬০-৭০ ভাগ ক্ষেত্রে পিআইডি যৌন রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত৷
  • জনন অঙ্গে যক্ষ্মার জীবাণুর সংক্রমণেও পিআইডি হতে পারে৷
  • মদ্যপান, ড্রাগ আসক্তি, একাধিক যৌনসঙ্গীর কারণে পিআইডি হয়ে থাকে৷
  • অন্যান্য কারণের মধ্যে-
- অল্প বয়সে যৌনজীবন শুরু, - মাসিকের সময় সহবাস, - অস্বাস্থ্যকর ও অদক্ষভাবে গর্ভপাত করা এবং ডেলিভারি করানো, - ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার না করা, - স্ত্রী জনন অঙ্গের কোনও অপারেশনের পর, লুপ বা কপারটি পরাবার পর এই প্রদাহ হতে পারে৷ সাধারণত ১৪-২৫ বৎসর বয়সের মহিলারা পিআইডিতে বেশি আক্রান্ত হয়৷ অশিক্ষিত, দরিদ্র মহিলাদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি কারণ তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা খুবই কম৷ রোগের লক্ষণ তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের লক্ষণসমূহ -
  • তলপেটে তীব্র ব্যথা হওয়া৷ এই ব্যথা কোমরে এবং বাহুতে বিস্তার করতে পারে৷
  • তলপেটে ভারি অনুভব করা।
  • সহবাসে এবং জরায়ু ও জরায়ুমুখ স্পর্শ করলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা৷
  • যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব বা পুঁজ নির্গত হওয়া।
  • প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালা-যন্ত্রণা করতে থাকে৷
  • মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে৷
  • শরীরে সব সময় জ্বর থাকতে পারে৷
  • মাথাব্যথা, বমি ভাব, পেট ফাঁপা হতে পারে৷
  • খেতে অরুচি এবং স্বাস্থ্য ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে৷
প্রতিরোধ ব্যবস্থা তলপেটের মারাত্মক প্রদাহ বা পিআইডি রোগীর উপযুক্ত চিকিৎসা করা না হলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এবং অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়৷ সেজন্য যৌন রোগগুলির প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিলে পিআইডি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব৷ বাচ্চা হওয়ার পর বা গর্ভপাতের পর বিশেষ পরিচ্ছন্নতা দরকার৷ মাসিকের সময় কাপড় বা ন্যাপকিন যাই ব্যবহার করা হোক না কেন তা অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে৷ একবার ব্যবহার করা জিনিস কখনই দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যাবে না৷ প্রতিবার বাথরুমে যাওয়ার পর যৌনাঙ্গ ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে৷ ঝুঁকিপূর্ণ সহবাসে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷ মনে রাখতে হবে, কনডম যৌন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে৷ জনকল্যাণ স্বার্থে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষদের ” সুস্থ রাখুন ও সুস্থ থাকুন”

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat