রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভারে পাঠাও চালক মো. মিলনকে (৩৫) গলা কেটে খুন করার ঘটনায় মূল আসামি নূরুজ্জামান অপুকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার ভোররাতে রাজধানীর গুলবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ জানায়, মো. মিলন প্রতিদিনের মতো ২৫ আগস্ট রবিবার রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়। রাত সোয়া ২টার দিকে রাইড শেয়ারে যাত্রী নিয়ে মালিবাগ থেকে শান্তিনগরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। ফ্লাইওভারে ওঠার পরপরই মিলনের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এই আঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে তার। রক্তের বেগ থামাতে মিলন নিজেই তার গলার ডান পাশের অংশ ডান হাত দিয়ে চেপে ধরেন। ওই অবস্থায় দৌড়ে ফ্লাইওভার দিয়ে নেমে আসেন। মর্মান্তিক এই দৃশ্য দেখে দুই জন পথচারী মিলনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় শান্তিনগর মোড়ে টহল পুলিশের কাছে। ততক্ষণে মিলনের কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। আকার-ইঙ্গিতে হিমেল নামে এক বন্ধুর নম্বর কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে জানান তিনি। দ্রুত মিলনকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে মিলনের গলায় ক্ষত স্থানে সাতটি সেলাই করা হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা লড়াইয়ের পর সোমবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে সেখানে মারা যান মিলন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।এ ঘটনায় পরদিন দুপুরে শাজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন মিলনের স্ত্রী শিল্পী আক্তার। স্ত্রী শিল্পী, ১০ বছরের ছেলে মিরাজ ও পাঁচ বছরের মেয়ে সাদিয়াকে নিয়ে মিলন থাকতেন মিরপুর-১ গুদারাঘাট এলাকায়।