×
  • প্রকাশিত : ২০২০-০৪-২৩
  • ৪৫৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা সংকট শিগগিরই শেষ হবে না বলে হুঁশিয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার সতর্ক করে বলেছে, করোনা ভাইরাস সৃষ্ট সংকট শিগগিরই শেষ হবে না। কারণ, অনেক দেশ এখন করোনা মোকাবেলার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে করোনায় বিশ্বে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ লোক।
এছাড়া বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়ছে কোটি কোটি লোক। এ প্রেক্ষিতে কোন কোন দেশ কিছু কিছু অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে।
এ কারণে হু’র প্রধান টেডরস এডহানম গেব্রিয়াসিস র্ভাচুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সতর্ক করে বলেন, ভুল করবেন না। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। এই ভাইরাস আমাদের সাথে অনেকদিন ধরে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, অধিকাংশ দেশ করোনা মোকাবেলার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আর যারা মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত হয়েছে তারা দেখছে তাদের সংক্রমণের হার বাড়ছে।
এদিকে, জার্মানী মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি জানিয়ে সোমবার থেকে সীমিতভাবে দোকান পাট খুলতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে দেশটি তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
ফিনল্যান্ড বলেছে, জুলাই পর্যন্ত দেশটি ৫শ’রও বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধের নির্দেশ বহাল রাখবে।
স্পেন বলেছে, মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত তারা লকডাউন অব্যাহত রাখবে।
সিঙ্গাপুর তাদের লকডাউনের সময় ১ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সেন্টারের পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড দেশটিতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায় আরো ধ্বংসাত্মক হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন। কারণ, ফ্লু’র মৌসুম শুরুর সঙ্গে করোনার সময় মিলে পরিস্থিতি মারাত্মক হতে পারে এবং আমেরিকানদের প্রতি আগামী মাসগুলোতে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, চলতি বছর বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ২৬ কোটি ৫০ লাখ। করোনার কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, চলতি বছর রেমিটেন্সের হার ২০ শতাংশ কমে যাবে যা সাম্প্রতিক ইতিহাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমান হ্রাস।
এদিকে, করোনার আরেকটি নিষ্ঠুর বাস্তবতার কথা তুলে ধরেছেন দুবাইয়ে শ্মশানের ব্যবস্থাপক ঈশ্বর কুমার। তিনি বলেন, এখ মরদেহ দাহ করতে কেউ আসে না, কেউ স্পর্শ করে না, কেউ বলে না বিদায়।
তিনি বলেন, মহামারির আগে লোকজন আসত ফুল নিয়ে বিদায় জানাতে। তাদের জন্য শোক প্রকাশ করতো। এখন তারা মরছে একা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat