×
ব্রেকিং নিউজ :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সিরিজ শুরু করছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড “দ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” গঠনে জাতীয় সংসদকে পরামর্শ প্রদান করে হাইকোর্ট রায় ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র : হোয়াইট হাউস ঝালকাঠিতে ট্রাক, অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত মুজিবনগর দিবস টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে মানুষের ঢল মুজিবনগর দিবসে রাঙ্গামাটিতে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা জয়পুরহাটে বেগুন, শসা, করলাসহ অন্যান্য সবজির দাম কমেছে বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : ওবায়দুল কাদের ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জাতিসংঘের সদস্যপদ নিয়ে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি
  • প্রকাশিত : ২০২০-১১-১০
  • ৫০৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্য হ্রাস, দারিদ্র্য নির্মূল ও ধরিত্রী রক্ষায় একযোগে বহুমুখী প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি স্মরণ করিয়ে দেয়, প্রত্যেকে নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউই নিরাপদ নয়। এ জন্য বৈষম্য হ্রাস, দারিদ্র্য বিমোচন এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে আমাদের গ্রহকে সুরক্ষিত করতে হবে এবং আমাদের বহুমুখী প্রয়াসকে আরো জোরদার করতে হবে।’
স্পেন সরকার আয়োজিত ‘বহুপাক্ষিকতা জোরদারে পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক অনুষ্ঠানে প্রচারিত পূর্বে ধারণকৃত ভিডিও বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আজ এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের গ্লোবালাইজড বিশ্বে গঠনমূলক বহুমুখীতার কোন বিকল্প নেই; মানবজাতির অভিন্ন অগ্রগতি এবং আইন-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক নির্দেশনার এটিই একমাত্র পথ।’
কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছে যে, সম্মিলিত কার্যক্রম, একতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপরই বৈশ্বিক সমৃদ্ধি নির্ভর করছে উল্লেখ তিনি বলেন, ‘ইতিহাস প্রমাণ করে যে সম্মিলিত প্রচেষ্টা থেকে যে কোন বিচ্যূতি মানবজাতির জন্য বিপর্যয় নিয়ে আসবে।’
মহামারি সংকটের মোকাবিলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জনগণের জীবিকার সুরক্ষায় আমরা ইতোমধ্যেই ১৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন বরাদ্দ দিয়েছি, যা আমাদের জিডিপি’র ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
তিনি বলেন, মহামারির প্রভাব সত্ত্বেও সরকারের সময় উপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পর্যায়ে বহুমুখী প্রচেষ্টা না নিলে বৈশ্বিক পুনরুদ্ধার হবে না এবং কখনোই সেটি টেকসই হবে না।
বিশ্বে সাম্প্রতিক সংরক্ষণবাদী প্রবণতা এবং কিছু দেশে বিদেশীদের ব্যাপারে আতঙ্কের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে নিরীহ মানুষের জন্য আরো ভোগান্তি এনে দিতে পারে এবং শান্তিপূর্ণ বহুপাক্ষিক পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, এ কারণে আমাদের সকলকে আন্তর্জাতিক শান্তি, সুরক্ষা এবং বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর এই জাতীয় ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বহুপক্ষীয়তার পতাকা বাহক এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সর্বোচ্চ উপস্থিতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষার পক্ষে জোরালোভাবে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এসডিজি বাস্তবায়নে ‘গোটা সমাজ’ এই নীতি অবলম্বন করেছি, আমরা প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
দ্বিতীয় বারের মতো ৪৮ সদস্যের ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের নেতৃত্বের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ সম্মানিত বোধ করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এলডিসি অবস্থান থেকে উন্নয়ন ঘটিয়েছি, এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এতে বহুপাক্ষিকতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি ও আস্থা প্রতিফলিত হয়েছে।’
জাতিসংঘের ৭৫ তম বার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশে ২১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক ঘোষণা গৃহিত হয়েছে উল্লেখ করে, তিনি বলেন, ‘ঘোষণায় আমরা আমাদের একীভূত সমৃদ্ধির জন্য অংশীদারিত্বের দায়িত্ব এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়েছি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য সমূহের জন্য ২০৩০ সালের এজেন্ডা এগিয়ে নিতে এবং প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যদিও এসব আন্তর্জাতিক উপাদান ও বোঝাপাড়া থেকে সুবিধাগুলো অর্জনে বলিষ্ঠ বহুপক্ষীয়তা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহুপাক্ষিকতা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার চেতনা বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে, এখানে বলা হয়েছে : ‘আমরা স্বাধীনতায় উন্নতি করতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আকাক্সক্ষাগুলো বজায় রেখে আনাতর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার প্রতি আমাদের পূর্ণ অবদান রাখতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) তাঁর ভাষণে সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব এবং জাতিসংঘের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘ দুঃখ, দুর্দশা এবং সংঘাতের এই পৃথিবীতে ভবিষ্যৎ মানুষের আশার কেন্দ্র হয়ে থাকবে।’ তাঁর মন্তব্য এখনও আমাদের বহুপাক্ষিকতার ভিত্তি হয়ে আছে।
অনুষ্ঠানে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ বক্তব্য রাখেন, এ ছাড়া সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেন এবং কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, জর্ডানের উপ-প্রধানমন্ত্রী, সেনেগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং কেরিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টারের পূর্ব ধারণকৃত ভিডিও ভাষণ অনুষ্ঠানে সম্প্রচার করা হয়।
জাতিসংঘের ৭৫ তম বার্ষিকী উদযাপনের ভিডিও এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের মন্তব্যের একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat