×
ব্রেকিং নিউজ :
ইউনাইটেডে থাকতে হলে টেন হাগের ২৫ শতাংশ বেতন কাটা যাবে আমার শরীর সুন্দর এবং আমার সম্পদ নিয়ে আমি গর্ববোধ করি :নোরা ফাতেহি রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল দিতে সরকার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে চীনের প্রাদেশিক কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে : মেয়র তাপস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
  • প্রকাশিত : ২০২০-১১-১৬
  • ৭৯৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সাড়ে চার মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৮১ জন সংক্রমিত ও হার ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ রেকর্ড হয়। তবে, এসময়ে করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসের পর সংখ্যা ও হার উভয় ক্ষেত্রেই চট্টগ্রামে এটাই করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ। তবে গত শুক্রবার ১৪৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ শনাক্ত হয় এবং হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল রোববার নগরীর আটটি ল্যাবে ১ হাজার ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১৮১ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৬৯ জন এবং পাঁচ উপজেলার ১২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়ি ও রাউজানের ৩ জন করে এবং হাটহাজারী, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীর ২ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২২ হাজার ৭২৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩১০ জনই রয়েছে। এতে শহরের ২১৬ জন ও গ্রামের ৯৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৯ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা এখন ১৭ হাজার ২৫০ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৩ হাজার ৩৫৫ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে ১৩ হাজার ৮৯৫ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ১৪৩ জন।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজ বাসস’কে বলেন, ‘জুন মাসের পর এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সংক্রমণের রেকর্ড। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ও নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন না করলে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে। ঘরের বাইরে গেলে মনে হয় কোভিড বলে কোনো কিছু দেশে নেই। আগের মতোই প্রায় ঘটা করে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বারবার অনুরোধ করছি, সামনের শীতের সময়টুকু সবাই যেন সতর্ক থাকেন। সরকার সার্বিকভাবে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করছে। এখন বাকী দায়িত্ব দেশের ১৬ কোটি মানুষের। মানুষ যদি নিজেকে রক্ষার চেষ্টা না করে তবে আরেকটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে আমাদের।’
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। এখানে ৪৪৬ জনের নমুনায় ৯৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১১৪ জনের মধ্যে ১৮ জন করোনাক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৬২ টি নমুনার ১১টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭৬ নমুনায় ২৬ জন, শেভরনে ৩৬ নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২২ নমুনায় ৫ জন করোনাক্রান্ত পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের বিটিআরএলে ৪টি নমুনা পরীক্ষা হলে সবক’টিরই পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রামের ৮ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে জানা যায়, চমেকে ২০ দশমিক ৮৫ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১৫ দশমিক ৭৯, চবি’তে ২১ দশমিক ৩৩, সিভাসু’তে ১৭ দশমিক ৭৪, শেভরনে ২৭ দশমিক ৭৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৪ দশমিক ২১ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
সংক্রমণ হারে বিপরীত চিত্র উঠে আসে জেনারেল হাসপাতালের বিটিআরএল ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। বিটিআরএলে শতভাগ ও কক্সবাজারে শূণ্য শতাংশ সংক্রমণ ধরা পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat