×
ব্রেকিং নিউজ :
আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন গাজা হত্যাযজ্ঞে নিশ্চুপ শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী ভুটানের রাজাকে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবির রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৬-২২
  • ৩৩১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

কোভিড -১৯ মহামারিকে বিশ্ব সংহতির জন্য লিটমাস টেস্ট হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বিশ্বকে ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ পরবর্তী অবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য সকলের উন্নয়নে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই সামগ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারীর পরে টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের অংশীদারিত্বমূলক সমৃদ্ধির জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং সামগ্রিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রয়োজন, আমাদের এখন সামগ্রিক বৈশি^ক প্রচেষ্টার প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কাতার ইকোনমিক ফোরাম’র ভাচুর্য়াল বৈঠকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে এবং সামগিগ্রক উন্নয়নের জন্য ছয় দফা প্রস্তাব পেশকালে একথা বলেন।
‘আগামীর জন্য নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক শ্লোগান নিয়ে সোমবার শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলনটিতে শতাধিক বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, কুটনিতিক, শিক্ষাবিদ এবং ব্যবসায়ীবৃন্দ  ভিডিও বার্তা প্রদান করছেন। 
শেখ হাসিনা তার ভাষণে, আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কোভিড -১৯ মহামারীর প্রভাব নিরসনে অবিলম্বে সম্মিলিত ও সামগ্রিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য পূরণের জন্য উচ্চাভিলাষী জলবায়ু পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও রফতানি আয়ের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে লক্ষ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সহায়তার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশগুলিকে অবশ্যই ডিজিটাল বিভাজন বন্ধ করার জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের সার্থকতা অর্জন করতে হবে এবং মহামারীজনিত কারণে যে কোনও সম্ভাব্য চ্যুতি প্রতিরোধে গ্রাজুয়েশন প্রাপ্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য নতুন আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি অভিমত দেন যে এই অঞ্চলে আয়োজক দেশ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরা অভিবাসী শ্রমিকদের পুনরায় একত্রীকরণ পরিকল্পনায় অবদান রাখতে হবে।
বিশ^ সংহতির জন্য কোভিড-১৯ মহামারীকে লিটমাস টেষ্ট আখ্যা দিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, যেহেতু এতে ইতোমধ্যে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে এবং অর্থনীতিকে ক্ষতবিক্ষত করেছে তাই ‘এজেন্ডা ২০৩০’,‘প্যারিস চুক্তি’ এবং ‘আদ্দিস আবাবা এ্যাকশন এজেন্ডা’ সংকট উত্তোরণের ব্লু প্রিন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।
কাতার ইকোনমিক ফোরাম আমাদের সুযোগগুলি সনাক্ত করার জন্য এবং এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ধারণা এবং সমাধানগুলি ভাগ করে নিতে এবং ভবিষ্যতের সংকটগুলি দক্ষতার সাথে মোকাবিলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করেছে।
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে আবারও বলেন যে কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিনকে বিশ্বব্যাপী পাবলিক পণ্য হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং উন্নয়নশীল দেশ ও এলডিসি যাদের সক্ষমতা রয়েছে তাদের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া উচিত।
মহামারীবিরোধী লড়াইয়ের বাংলাদেশের ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে তিনি বলেন যে সরকার জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে কেননা তাঁর সরকার এ পর্যন্ত ১৫ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারী থাকা সত্ত্বেও ২০২০-২০২১ সালে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ।
তাঁর সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রুপকল্প দেশটিকে কোভিড-১৯ পরবর্তী নতুন বাণিজ্য এবং কাজের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহযোগিতা করেছে,বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কাতার এবং অন্যান্য মধ্য-প্রাচ্যের দেশগুলির সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে,আইসিটি, নবায়ণযোগ্য জ¦ালানি, হালকা প্রকৌশল, ওষুধ শিল্প এবং কৃষিজাত পণ্য খাতে  চমৎকার বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। কেননা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার বিস্তৃত পরিসরে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বিশ্বজুড়ে পপুলিজম, বিশ্বায়ন-বিরোধী মনোভাব এবং অর্থনৈতিক সংরক্ষনবাদের বিরুদ্ধে বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করার জন্য একসাথে দাঁড়ানোর ওপর ও গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে দেশগুলোয় এবং বিশে^র সকল জায়গায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা দরকার কারণ এগুলি অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের পূর্বশর্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat