×
ব্রেকিং নিউজ :
উল্লাপাড়ায় কৃষক সমাবেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে টাইগারদের প্রতি রাষ্ট্রপতি’র অভিনন্দন গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ মেহেরপুরে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের বিষয়ে সেমিনার পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া পাঠাগারে স্পিকারের বই উপহার ই-জিপি বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে তানজানিয়ার প্রতিনিধিদল ঢাকায় ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বৈঠক বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই : ওবায়দুল কাদের আত্মতুষ্টি নয়, আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৬-২৩
  • ৩২৫৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বরাবর,

মানানীয় প্রধানমন্ত্রী,

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার,

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, এলেন বাড়ী, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫।

বিষয়: কোভিড-১৯, করোনা কালীন মহামারীর সময় অর্থনীতি সচল ও জিডিপি ধরে রাখতে সাস্থ্য ও সেবা খাত সহ এর পাশা পাশি কিছু রাজস্ব আয়ের অফিস খোলা রাখার জন্য আবেদন।
জনাব, যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নিবেদন এই যে, আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারী দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ভাবে রাষ্ট্রের রাজস্ব উন্নয়নের জন্য কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করে আসছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য বাংলাদেশ যখন আজ উন্নয়নের অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে তখন দেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে রাজস্ব (ট্যাক্স ও ভ্যাট) বৃদ্ধি একটি অগ্রাধিকার ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মহামারীর লকডাইনের বিরাজমান আইনি কাঠামোর ভেতর কতিপয় রাজস্ব আয়ের অফিস খোলা রাখার মাধ্যমে বর্তমান আদায়যোগ্য রাজস্বের (ট্যাক্স ও ভ্যাট) পরিমাণ ও গ্রাহক সেবার মান বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে, দেশরতœ শেখ হাসিনার অনুসারী এক নগণ্য কর্মী হয়ে, একজন দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের অধিকতর আর্থিক উন্নয়নের জন্য আমার দীর্ঘ বছর যাবৎ কনসালটেন্ট পেশা এর অভিজ্ঞতার আলোকে সরকারের রাজস্ব (ট্যাক্স ও ভ্যাট) বৃদ্ধির লক্ষ্যে নি¤œ লিখিত কিছু প্রস্তাবনা মমতাময়ী মা, মাদার অফ হিউম্যানিটি, মাদার অফ কওমী যার স্বপ্ন শুধু বাংলার মানুষের উন্নয়ন তিনি হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ যথাযথ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সু-বিবেচনার জন্য তুলে ধরছি।
কোভিড-১৯, করোনা ভাইরাস বিশে^র এক মহামারী আতংকের নাম যার কারনে বিশে^র প্রায় সকল রাষ্ট্র অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে করোনা ভাইরাস মহামারী এর দ্বিতীয় ধাপ। এ যেন আর ও ভয়ংকর রূপ ধারন করেছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট আমরা চিরকৃতজ্ঞ যে তিনি সময় উপোযোগী অনেক পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে মহামারী করোনা ভাইরাস অন্যান্য রাষ্ট্রের চেয়ে খুব ভাল ভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। সাধারণ জনগণকে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষনা ও প্রদান করা, স্বাস্থ্য খাতে চাগিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত মেডিকেল সুবিধা, ব্যবসায়ীদের সল্প সুদে ঋন প্রদন করা, ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য, দরিদ্রদের নগদ আর্থিক সুবিধা, চাল, গম ও বাচ্চাদের গুড়ো দুধ পর্যন্ত দিতে সক্ষম হয়েছেন, যা বিশে^ নজিরবিহীন ঘটনা বা দৃষ্টান্ত। বর্তমানে কোভিড-১৯, করোনা ভাইরাস মহামারী দ্বিতীয় ধাপ এ গত ১৪ এপ্রিল ২০২১ থেকে ৫ ই মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলমান। যার কারনে সকল সরকারী অফিস বন্ধ, শুধু মাত্র সেবা ও স্বাস্থ্যখাত ব্যাতিত। এ দীর্ঘ বন্ধে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে বলে আমার ধারনা। কারণ করোনা ভাইরাস এর কারনে ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে রাজস্ব আদায় তুলনা মূলক ভাবে কম আদায় হয়েছে এবং ব্যাংকের আয় ও অনেক কমেছে। তাই অর্থনীতির চাকাকে ও জিডিপি সচল রাখতে চলমান লকডাউনকে আরো কঠোরভাবে পালনের ব্যবস্থা রেখে স্বাস্থ্য ও সেবা খাতের পাশা-পাশি স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ত্ব বজায় রেখে স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে রাজস্ব অফিস বাধ্যতামূলক ভাবে খোলা রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। যেমন: ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট, কাষ্টমস, সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস, এসিল্যান্ড অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, আরজেএসসি, বিডা, এসইসি, আইআরসি-ইআরসি, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদ রাজস্ব শাখা, বিভিন্ন লাইসেন্স শাখা ইত্যাদি অর্থাৎ যে সকল খাত থেকে প্রতিদিন সরকারের কম-বেশি রাজস্ব আসে সে সকল খাত গুলো সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে খোলা রাখা হলে সরকারের অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে এবং ব্যবসায়ীদের সময়মত সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পাবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপরের বিষয় গুলি বিবেচনা করে যদি সম্ভব হয় নূন্যতম আদায়যোগ্য রাজস্ব খাত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদায়যোগ্য রাজস্ব খাত গুলি রাষ্ট্রের অথনীতির চাকা ও জিডিপি ধরে রাখার জন্য স্বাস্থ্য ও সেবা খাতের পাশা-পাশি স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ত্ব বজায় রেখে স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে রাজস্ব আদায় যোগ্য অফিস গুলি খোলা রাখা জরুরী বলে মনে হয়।
অতএব জনাবরে নিকট আবেদন যাহাতে সরকারের নূন্যতম আদায়যোগ্য রাজস্ব খাত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদায় যোগ্য রাজস্ব খাতগুলি রাষ্ট্রের অথনীতির চাকা ও জিডিপি ধরে রাখার জন্য স্বাস্থ্য ও সেবা খাতের পাশা-পাশি স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ত্ব বজায় রেখে স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে প্রতিদিনের রাজস্ব আদায় যোগ্য অফিস গুলি খোলা রাখা তাহার বিহীত বিধান করার আজ্ঞা হয়।
সদয় ও অবগতির যথাযথ আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য অনুলিপি (জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নহে): ১। মাননীয় মন্ত্রী, (আইন মন্ত্রনালয়), গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা, ২। সচিব, বানিজ্য মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবলায়, ঢাকা, ৩। সচিব (আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ), অর্থ মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, ৪। সচিব (অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভগ), অর্থ মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, ৫। সচিব (লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ), আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবলায়, ঢাকা, ৬। সচিব (জন নিরাপত্তা), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবলায়, ঢাকা, ৭। সচিব, (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবলায়, ঢাকা, ৮। চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সেগুনবাগিচা, ঢাকা, ৯। গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ভবন, মতিঝিল, ঢাকা, ১০। চেয়ারম্যান, সিকিউরিটিজ এন্ড একচেη কমিশন, এসইসি ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা, ১১। নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিডা ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা, ১২। চেয়ারম্যান, সকল ব্যাংক, লিজিং কোম্পানী, ফাইন্যান্স কোম্পানী, অর্থ লগ্নী প্রতিষ্ঠন, ১৩। ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সকল ব্যাংক, লিজিং কোম্পানী, ফাইন্যান্স কোম্পানী, অর্থ লগ্নী প্রতিষ্ঠন, ১৪। রেজিষ্ট্রার, রেজিষ্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস সমূহের পরিদপ্তর, ১, কাওরান বাজার, টিসিবি ভবন, ঢাকা, ১৫। অতিরিক্ত সচিব (প্রসাশন), বানিজ্য মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবলায়, ঢাকা, ১৬। অতিরিক্ত সচিব (বানিজ্য সংগঠন), বানিজ্য মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবলায়, ঢাকা, ১৭। সকল জেলা প্রশাসক, মহোদয়।
নিবেদক, মো: আবুল বরকত সেরনিয়াবাত, কনসালটেন্ট (রাজস্ব উন্নয়ন), মোবাইল: ০১৭১১ ৩৫১ ৫৮১

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat