×
ব্রেকিং নিউজ :
রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ৬টি বসতঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বগুড়ায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা মূলক কর্মশালা দিনাজপুরের দৃষ্টিনন্দন দিঘী রামসাগর নারায়ণগঞ্জে ইকোনোমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা জাতির জন্য বিএনপি-জামায়াত অভিশাপ: নাছিম জলবায়ু-সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পরিবেশমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ প্রদান অব্যাহত থাকবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৬-৩০
  • ৫৮২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) চলাকালে প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে। এছাড়া মসজিদে আগত মুসল্লিদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৩০ জুন কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদে জামায়াতের নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে
৯টি শর্ত পালনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
নির্দেশনায় বলা হয়, মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। মসজিদে কারপেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। শিশু, বৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে। সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রব্বুল আ’লামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন। খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
অন্যান্য সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার
জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat