×
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৯-১৮
  • ৫২৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বেসিসের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসিসের অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। সাথে সাথে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও জাতিকে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বেসিসের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। সহসভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ বেসিসের ২০২০ সালের কার্যবিবরণী তুলে ধরেন। অপর সহসভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান বিগত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন। পেশকৃত এসব প্রতিবেদনের উপর সভায় উপস্থিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য আলোচনায় অংশ নেন ও গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন।   
সভায় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, বিশ্বে এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতি ঘটে চলেছে। আগামী দিনগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ন্যানো টেকনোলজি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বায়ো টেকনোলজি, রোবোটিক্স, আইওটি, ফাইভজি, থ্রিডি মুদ্রণ এবং সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় যানবাহন প্রযুক্তি আমাদের চেনা পৃথিবীকে আমূল বদলে দেবে। আমাদের সৌভাগ্য আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল বিনির্মাণের পথে আছি। আমাদের আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। বেসিস তার সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে সাথে নিয়ে এক্ষেত্রে উল্লেযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের শ্রমবাজারের অনেক চাকরীর বিলুপ্তি ঘটাবে। এক্ষেত্রে আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বর্তমান শ্রমবাজারে নিয়োজিত অনেককে আমাদের রিস্কিলিং ও আপস্কিলিং করে গড়ে তুলতে হবে। যাতে আমরা তাদেরকে অন্য কোন সেক্টরে নিয়োজিত করতে পারি। আর এজন্য আমাদের এখন থেকেই সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কাজ শুরু করতে হবে। আমরা চাই দেশের আইটি-আইটিইএস খাতের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেসিসের সদস্যপদ গ্রহণ করুক। আমরা আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ শিল্পখাতের উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখতে চাই।
এছাড়াও তিনি গত একবছরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা পুনরুদ্ধার ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে বেসিস গৃহতি পদক্ষেপসমূহ সভায় তুলে ধরেন।
২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ‘বেসিস ডিজিটাল শপ’ এর উদ্বোধন করা হয়। বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছাড়াও দেশ-বিদেশ থেকে যে কেউ অনলাইনে ‘বেসিস ডিজিটাল শপ’ থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন এবং কেনাকাটার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।  
সভায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেসিসের ভূমিকা শক্তিশালী করা, সরকারি কাজে বাংলাদেশি সফটওয়্যার কোম্পানির অগ্রাধিকার নিশ্চিতকরণ, বিদেশ থেকে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার আমদানির ক্ষেত্রে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা ও দেশে উৎপাদন করার শর্ত জুড়ে দেওয়ার জন্য সরকারকে রাজি করানো, ইন্ডাস্ট্র রিসার্চ বাড়ানো, বেসিস সচিবালয় শক্তিশালীকরণ, বেসিসের চলমান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণে বেসিসকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বেসিস সদস্যরা। বার্ষিক সাধারণ সভায় বেসিসের উল্লেযোগ্য সংখ্যক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বেসিসের প্রাক্তন সভাপতিবৃন্দ, বেসিসের সাবেক পরিচালক, স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যান, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান,পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক, পরিচালক দিদারুল আলম, পরিচালক রাশাদ কবির এবং বেসিসের সদস্যবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বার্ষিক সাধারণ সভার পূর্বে একই ভ্যেনুতে বেসিস সংঘবিধি সংশোধনের লক্ষ্যে একটা অতিরিক্ত সাধারণ সভা (ইজিএম)অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat