×
ব্রেকিং নিউজ :
রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল দিতে সরকার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে চীনের প্রাদেশিক কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে : মেয়র তাপস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্ট আদেশ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৯-১৯
  • ২৯৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। আগামী একদশকে বাংলাদেশের খাদ্য পরিকল্পনাকে বিবেচনায় নিয়ে ন্যাশনাল পাথওয়ে ডকুমেন্ট (পথ নির্দেশকা) তৈরি করা হয়েছে। 
তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার চালিকাশক্তি হবে এই পাথওয়ে ডকুমেন্ট।’ 
মন্ত্রী আজ রাজধানীর তথ্য ভবন অডিটোরিয়ামে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে “জাতিসংঘ ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১ এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিতকরণ” কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশনের বিভিন্ন স্তরকে নির্ধারণ করার জন্য রোমভিত্তিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ফুড সিস্টেম সামিট আহ্বান করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১ এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পাথওয়ে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করবেন।
দেশে অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জনগণকে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কেও সচেতন করতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সাথে জনগণের কাছে পাথওয়ে ডকুমেন্ট সম্পর্কে সঠিক বার্তা পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, আমরা যদি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে না পারি তাহলে লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে থাকব। টেকসই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর একটা সময় মানুষকে এক বেলা ভাত খেয়ে জীবন নির্বাহ করতে হয়েছে। সেই বাংলাদেশের মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আমাদের সবদিকেই উন্নতি হয়েছে। এবার আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, খাদ্য পাওয়ার অধিকার নাগরিকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র প্রয়োজন মাফিক নাগরিকের খাদ্য নিশ্চিত করবে। ফুড সাপ্লাই চেইন ঠিক রেখে তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার পৌছে দেয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে জনসাধারণকে এডুকেটেড ও মোটিভেট করতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, আমরা একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে সবার মধ্যে খাদ্য সচেতনতা ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছি। জীববৈচিত্র রক্ষাসহ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয় সেদিকেও গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা অনেকেই পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের (ব্যালান্সড ডায়েট) সঠিক নিয়ম জানি না। আবার অনেকেই জেনেও তা মানি না। এসব বিষয়ে সচেতনতা দরকার।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী।
ন্যাশনাল পাথওয়ে ডকুমেন্ট এর পাঁচটি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কর্মশালায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat