মুন্সীগঞ্জ জেলার চরমুক্তারপুরের একটি ভবনে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ভাই-বোনের পর এবার তাদের বাবা কাওসার খান মারা (৩৬) গেছেন। শনিবার সকালে শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে শহরের চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষে বিস্ফোরণে কাওসার, তার স্ত্রী শান্তা বেগম (২৭) , ছেলে ইয়াসিন (৬) ও মেয়ে ফাতেমা ওরফে নোহর (৩) অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন। সেদিন রাতেই অগ্নিদগ্ধ ইয়াসিন ও ফাতেমা মারা যান। পরে শনিবার সকালে অগ্নিদগ্ধ কাওসারও না ফেরার দেশে চলে যান। এখন শান্তা বেগম (২৭) শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব খান ডাক্তারের বরাত দিয়ে জানান ,শান্তা বেগমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার হার্টবিট কমে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে গ্যাস লিকেজ হয়ে কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটে। শীতের কারণে কক্ষের সব জানালা বন্ধ ছিল। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। সিআইডি পুলিশের সংশ্লিষ্ট টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহত কাওছার খান কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বাসিন্দা আব্দুস সালাম খানের পুত্র। তিনি প্রায় আট বছর ধরে মুন্সীগঞ্জের আবুল খায়ের গ্রুপে ওয়েল্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।