×
ব্রেকিং নিউজ :
রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল দিতে সরকার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে চীনের প্রাদেশিক কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে : মেয়র তাপস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্ট আদেশ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-১২-০৭
  • ৬৭৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আজ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলোতে বড় ধরনের কোন মতানৈক্য নেই, দেশ দুটি তাদের মধ্যকার সম্পর্কের ‘সোনালী অধ্যায়’ অতিবাহিত করছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথ এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু আমরা এতে বড় ধরনের কোন মতানৈক্য পাইনি। দু’দেশের মধ্যে শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্র রয়েছে। এখন আমরা (এই ইস্যুগুলো সমাধানে) কিভাবে কাজ করতে পারি- তার উপায় খুঁজছি।’
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে ৫০ মিনিটব্যাপী দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর দুই পররাষ্ট্র সচিব একসাথে গণমাধ্যমের সামনে আসেন।
বাংলাদেশী পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বলেন, ‘(বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে) বহুমুখী ইস্যু রয়েছে এবং আমরা সকল অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কিভাবে আমরা আমাদের সীমান্তে শান্তি বরাজ রাখতে পারি, সে ব্যাপারেও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তাদের মধ্য যোগাযোগ, সবুজ শক্তি, সবুজ প্রযুক্তি, ই-কমার্স এবং কিভাবে দু’দেশে এগিয়ে যেতে পারে সে সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত নিরাপদ ও সুরক্ষিত না থাকলে, বাংলাদেশও নিরাপদ থাকতে পারে না। আবার বাংলাদেশ নিরাপদ ও সুরক্ষিত না থাকলে, ভারতও নিরাপদ থাকতে পারে না। তাই কোভিড সহযোগিতার ব্যাপারে উভয় পক্ষই পারস্পারিক সহায়তা অব্যহত রাখার কথা পুনরুল্লেখ করেছে। 
দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসন্ন রাষ্ট্রীয় সফরের প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আজ সকালে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন।
শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের জনগণই তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের রক্ত দিয়েছেন। ‘এমন ঘটনা খুবই বিরল। আমরা আপনাদের বিজয়ে গর্বিত, আমরা আপনাদের উদযাপনে অংশ নিতে পেরে গর্বিত।’ 

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি গত মার্চে এখানে সফর করেছেন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি এ মাসেই এখানে সফরে আসার কথা রয়েছে এবং এটি একটি রেকর্ড তৈরি করবে যে একই বছরে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একই দেশ সফর করেছেন। এছাড়াও শ্রিংলা বলেন, কোভিড অচলাবস্থার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি উভয়েই তাদের প্রথম সফরের গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছেন যা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের সোনালী অধ্যায়ের চিত্র তুলে ধরে। 
দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, সবুজ শক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং উভয় দেশের যুব প্রজন্মের কর্মসংস্থানের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য খাত সহ কিছু দূরদর্শী বিষয়েও তারা আলোচনা করেন। শ্রিংলা বলেন, দুই দেশের মধ্যে সংযোগ প্রকল্প খুব ভালো ভাবেই চলছে, ছয়টি রেল সংযোগের মধ্যে পাঁচটি ইতোমধ্যেই পুন:স্থাপিত হয়েছে এবং ষষ্ঠটি এ বছরের মধ্যেই শেষ হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারত পরিবেশ-বান্ধব রেলপথ এবং জলপথ সংযোগ উন্নয়ন করতে চায়। 
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, এই অর্জনে ভারতও গর্বিত। “আপনাদের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে আমরাও গর্বিত এবং এই দৃষ্টিকোন থেকে আমরা আরো আলাপ-আলোচনা করবো।” 
আগামীকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সৌজন্য সাক্ষাদের কথা রয়েছে, এছাড়াও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন। 
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত অবশ্যই উচ্চ পর্যায়ের সম্পর্ক এবং ডিসেম্বরে একটি শীর্ষ বৈঠকের জন্য উন্মুখ।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাসম্ভব দ্রুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের জন্য নয়াদিল্লী ও ঢাকা কাজ করছে। গত মার্চে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে সফরের আমন্ত্রন জানান।
ঢাকা ও দিল্লীর গত ৫০ বছরের বন্ধুত্বের অনন্য ভিত্তির সাক্ষ্য হিসেবে ঢাকা ও দিল্লী সহ বিশ্বের অপর ১৮টি নগরীতে ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপনের একদিন পরেই এখানে আসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat