×
ব্রেকিং নিউজ :
শিপ রিসাইক্লিং শিল্পে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে শিল্প সচিব ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত হাইকমিশনারের আলোচনা বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল কাদের ৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো : রেহমান সোবহান শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানি বৃদ্ধির প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়লো ৪ টাকা, খোলা তেল কমেছে ২ টাকা বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শপথ নিলেন পিএসসি’র সদস্য প্রদীপ কুমার পাণ্ডে আফ্রিদির সাথে বিবাদের বিষয়টি অস্বীকার করলেন বাবর সরকার প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে : পরিবেশমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৮
  • ৬৮১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

শেরপুর পৌরসভায় বর্জ্য ডাম্পিং চালু হচ্ছে ২৩ জুলাই। শেরপুর পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিদিন ১৫ মেট্রিকটন বর্জ্য অপসারণ করা যাবে বলে পৌর কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছেন। ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত শেরপুর পৌরসভার আয়তন হচ্ছে ২৬কিলো মিটার।
শেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান রেজাউল করিম জানান, শেরপুর শহরের অষ্টমীতলা মৃগি নদীর পাড়ে এ বর্জ্য অপসারণ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। ২.৭৬ একর জমিতে এ বর্জ্য অপসারণ প্রকল্পটি ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। টএওওচ প্রকল্পে দেশের ৩৫টি পৌরসভায় এ বর্জ্য অপসারণ কেন্দ্রটি চালু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চলতি মাসের ২৩ তারিখ আমরা এ প্রকল্পটি চালু করতে যাচ্ছি। ধ্রুব ট্রেড এজেন্সি এ প্রকল্পটি নির্মাণ করছে।
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পটি চালু হলেও আমাদের জনবল ও বর্জ্য ফেলার গাড়ি স্বল্পতা রয়েছে। অচিরেই তা সমাধান করা হবে। ভবিষ্যতে এ প্রকল্প থেকে গ্যাস ও বিদ্যুতের মতো জ¦ালানি উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে, যা দিয়ে পৌরসভার রাজস্ব আয় বৃদ্ধি হবে।
শেরপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নয়ন কুমার রায় জানান, এ টএওওচ প্রকল্পটি চালু হলে শেরপুর শহর একটি পরিবেশবান্ধব শহরে রূপ নিবে। এ ডাম্পিং প্রকল্পটি দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি হচ্ছে পচনশীল আরেকটি হচ্ছে অপচনশীল বর্জ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। পঁচনশীল বর্জ্যগুলো ডাম্পিং প্রকল্পের ভিতরেই নষ্ট করে দেওয়া হবে। আর অপঁচনশীল বর্জ্যগুলো যেমন পলিথিন, পানির বোতলসহ বিভিন্ন প্রকার অপঁচনশীল বর্জ্যগুলো বাছাই করে সেসব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করা হবে। এতে শেরপুর পৌরসভার রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে। আমরা ডাম্পিং প্রকল্পটি পরিদর্শন করি এবং পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সেগুলো দেখভাল করে শেরপুর পৌরসভাকে পরিবেশ সনদপত্র প্রদান করেছি।
শেরপুর নাগরিক ফোরাম জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, শেরপুর শহরের ভিতরে যে আবর্জনার স্তুপ থাকতো, মানুষ দূর্গন্ধে সেসব রাস্তা দিয়ে যেতে পারতো না এজন্য নাগরিক সমাজ বিভিন্ন সময় মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দাবি করে আসছিল। পৌর কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতায় ডাম্পিং প্রকল্পটি চালু হলে শেরপুরবাসী দূষিত পরিবেশ থেকে রক্ষা পাবে।
পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃশ্যমান উন্নয়নের যে চিত্র সারাদেশে ফুটে উঠেছে তা থেকে শেরপুর পৌরসভাও পিছিয়ে নেই। আমরা পৌরশহরকে আলোকিত করতে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করেছি। রোড লাইটের মাধ্যমে সারা শহরকে আলোকিত করেছি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য যাদুঘর নির্মাণ করেছি। জলবদ্ধতা শেরপুর পৌরসভায় একটি প্রধান সমস্যা ছিলো যা ইতিমধ্যে আমরা আশি ভাগ সমাধান করতে পেরেছি। ডাম্পিং প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর শেরপুর পৌরসভা একটি পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে রূপ নিবে। তিনি নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ করে পৌরসভাকে আরও এগিয়ে নিতে সার্বিক সহযোগিতা চান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat