আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গমাতা শুধু বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীই ছিলেন না, তিনি বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতি করতে সহযোগিতা করেছেন। কঠিন দৃঢ়তা ও সাহস নিয়ে তিনি সব সময় বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকেছেন, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ফলমুল, শাকসবজি ও মাস কলাইয়ের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি নিতে পরিবারকে রাজি করানোর জন্য দলের অনেক নেতা সেদিন চাপ প্রয়োগও করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গমাতা দৃঢ়তার সঙ্গে তা প্রত্যাখান করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি একা বিধবা হবো না, যে ৩৫ জন বন্দি আছেন তাদের স্ত্রীরাও বিধবা হবেন। বঙ্গমাতা কোনো বিশ^বিদ্যালয়, স্কুল, কলেজে লেখাপড়া করেননি। কিন্তু তার মধ্যে এই যে, রাজনৈতিক সচেতনতা, দৃঢ়তা- এটা তিনি জীবনের পাঠশালা থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বঙ্গমাতার স্মৃতিচারণ করে বলেন, এতো দেশপ্রেম, সাহস ও ধৈর্য তাঁর, যার প্রমাণ আমরা বঙ্গমাতার বিভিন্ন কর্মের মধ্যে পাই। স্বামীর(বঙ্গবন্ধুর) সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেই সাহস, দেশপ্রেম ধারণ করেছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের আগে বঙ্গবন্ধুকে অনেক নেতা অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গমাতা বলেছিলেন, তুমি কারো কথা শুনবে না, তোমার মনে যেটা আসে তুমি সেটাই বলবে। বঙ্গবন্ধু তাই করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বঙ্গমাতা একজন সফল স্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করেছেন, সাহস যুগিয়েছেন। আবার একজন সফল মা হিসেবে তাঁর সন্তানদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও কার্যনির্বাহি সদস্য আব্দুল আউয়াল শামীম।