পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন থেকে শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্বের সব নারীই শিক্ষা নিতে পারে। সংকটে-সংগ্রামে বেগম ফজিলাতুন নেছা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্ভীক সহযাত্রী।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন জেলে থাকতেন, তখন বঙ্গমাতা সন্তান লালন-পালন, শ্বশুর-শাশুড়ীর সেবা যতœ করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও দেখভাল করতেন। ছাত্রলীগকে তিনি বিশেষভাবে দেখাশুনা করতেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ছাত্রলীগকে সকল প্রকার দিকনির্দেশনা দিতেন। তাদের আর্থিকসহায়তাও করতেন। বঙ্গবন্ধুর সকল সংগ্রামেই তিনি পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন।’
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আজ সোমবার রাজধানীতে তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু জেলে থাকাকালিন সময়ে বেগম মুজিব গোয়েন্দা নজরদারি এড়িয়ে বঙ্গবন্ধুকে সকল খবরাখবর জানাতেন। তিনি একজন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী হয়েও সাধারণ জীবনযাপন করতেন। এমনকি তার সন্তানদেরকেও সেইভাবে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে বঙ্গমাতার ব্যাংক হিসেবেও কোনো অর্থ পাওয়া যায়নি। খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে যে নারীর অবদান অনস্বীকার্য-তিনি হলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গমাতার কাছ থেকে পরিশুদ্ধ বাঙালি হওয়া এবং মানবিকতার মা হবার শিক্ষা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গমাতার কাছে থেকেই নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। একজন আদর্শ নারী হিসেবে বঙ্গমাতা সারা বিশ্বে অতুলনীয়।
নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাবেয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক সামসুন্নাহার মায়া, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আসমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক জুলিয়া হাসান পারুল, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, সহ-সভাপতি কোহিনুর সুলতানা দোলা, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সালমা বেগম, যুব মহিলা লীগের সভাপতি রোকসানা চৌকিদার, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদা আক্তার প্রমূখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।