×
ব্রেকিং নিউজ :
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ বরগুনায় স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন পিরোজপুরে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিক উদযাপনে প্রস্তুতি সভা রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-২৪
  • ৩৬৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে গত ১০ বছরে যক্ষ্মায় আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন,  ‘১০ বছর আগে যক্ষ্মায় দেশে বছরে ৮০ হাজার লোক মারা যেত। এখন বছরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যাচ্ছে। যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, এটি এখন টোটালি ভুল প্রমাণিত হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত কমিউনিটি, রাইটস অ্যান্ড জেন্ডার অ্যাকশন প্ল্যান ফর টিবি (২০২১-২৩) শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, যক্ষ্মায় সচেতন থাকলে ও নিয়ম করে ওষুধ সেবন করলে ৯৭ ভাগ যক্ষ্মা রোগী এখন সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তবে, স্বাস্থ্যখাতের এই উন্নয়নের সময়ে এসেও বছরে ৪০ হাজার যক্ষ্মা আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু কোনো ভালো খবর নয়। এই সংখ্যা শুণ্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি আমাদের সকল মন্ত্রণালয় মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা অনেক রোগ বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমরা দেশকে পোলিওমুক্ত করেছি। কলেরা, ডায়রিয়া দূর করতে পেরেছি। দেশ টিটেনাসমুক্ত হয়েছে। টিবি নিয়ন্ত্রণেও যথেষ্ট কাজ করছি। আমাদেরকে এখন সংক্রামক রোগের পাশাপাশি অসংক্রামক রোগ নিয়েও কাজ করতে হচ্ছে। দেশে ক্যান্সার, কিডনিতে অসংখ্য লোক মারা যাচ্ছে। এগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিবিকে আমরা নির্ণয় করতে পারছি এটি বড় পজিটিভ বিষয়। কারণ, আপনি যদি নির্ণয় করতে পারেন, তাহলে এর চিকিৎসাও আছে। একারনেই টিবিতে মৃত্যুর হার কমে আসছে। যক্ষ্মায় এখন ৯৫ থেকে ৯৭ শতাংশ লোক সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, পৃথিবীতে যতগুলো দেশ আছে, এরমধ্যে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের তালিকায় বাংলাদেশ ৭ নম্বরে আছে। সেটি কিন্তু অনেক বেশি। আমরা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে না, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী কাজ করে। তাদেরকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এখন আর বলে না যে যক্ষ্মা রোগে রক্ষা নাই। অবশ্যই রক্ষা আছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে প্রতি বছরে ৫০ হাজারেরও বেশি রোগী মারা যায়। ৩ লাখ বা তার বেশি রোগী প্রতিবছর যুক্ত হচ্ছে। নতুন করে যুক্ত হওয়াটা কমানো না গেলে টিবি নিয়ন্ত্রণে সরকারের যে লক্ষ্য, সেটি বাস্তবায়ন হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, অধিদপ্তরের পরিচালক ও টিবি-ল্যাপ্রোসি অপারেশন প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. খুরশিদ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেলথ সার্ভিস ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব নিলোফার নাজনীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat