×
ব্রেকিং নিউজ :
রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ৬টি বসতঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বগুড়ায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা মূলক কর্মশালা দিনাজপুরের দৃষ্টিনন্দন দিঘী রামসাগর নারায়ণগঞ্জে ইকোনোমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা জাতির জন্য বিএনপি-জামায়াত অভিশাপ: নাছিম জলবায়ু-সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পরিবেশমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ প্রদান অব্যাহত থাকবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-০৯
  • ৫৫৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

সিলেটে আলোচিত আব্দুল আলীম হত্যা মামলার রায়ে ১ আইনজীবীসহ ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দীর্ঘ ১৯ বছরপর বহুল আলোচিত আব্দুল আলীম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে বলে আদালাত সুত্র জানায়।
ঘোষিত রায়ে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট নুরুল ইসলাম ও আইনজীবী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, এছাড়া জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং তার সহোদর সবজুলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন দন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ বছরের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। এছাড়া দ-াদেশপ্রাপ্ত মইনুলের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের দন্ডের আদেশ দেন আদালত।
এসময় উক্ত মামলার দায় হতে ৩৮ জনকে অব্যাহতি প্রদান করেন আদালত। মামলা চলাকালিন সময়ে ৫ জন আসামী মৃত্যুবরণ করেন বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
মামলার রায়ে দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে এডভোকেট নুরুল ইসলাম ও তার ভাই সবজুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত আব্দুল রহিমের ছেলে মইনুল হক। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সবজুল বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামের হাজী জামিন খানের পুত্র আব্দুল আলীম। এ ঘটনায় নিহতের সহোদর আজমল খান বাদী হয়ে পরদিন দিরাই থানায় হত্যা (মামলা নং০৬) দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিরাই থানার ওসি সুভাষ চন্দ্র সাহা ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৩ সেপ্টম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আসামীপক্ষে অভিযোগ তুললে মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। পরবর্তীতে সিআইডি তদন্ত শেষে ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি আদালতে সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করেন। এরপর সুনামগঞ্জ আদালত বার বার চার্জগঠনের তারিখ ধার্য করলের চার্জ গঠন হয়নি। পরবর্তীতে ন্যায় বিচারের জন্য মামলাটি সিলেটে স্থানান্তর এবং অভিযোগ গঠনের জন্য বাদীপক্ষ ২০১২ সালে উচ্চ আদালতে রীট করেন। পরবর্তিতে মামলাটি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলী এবং অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন উচ্চ আদালতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১৪ মে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদলতের বিচারক ৪১ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার কার্য শুরু করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানী ও ১৬ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ বুধবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি আইনজীবী জসিম উদ্দিন ও মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন ঘোষিত রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, তারা বলেন মামলার রায়ের মধ্যদিয়ে বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat