×
ব্রেকিং নিউজ :
স্বাধীনতার ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী নীলফামারীতে গোপন বৈঠককালে জামায়াতের তিন নেতা গ্রেপ্তার রবীন্দ্রনাথ বর্তমানে বিশ্বে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী হাবিবের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগের টিকিট পেল গাজী গ্রুপ টাঙ্গাইলে সম্প্রসারিত হয়েছে আদা ও হলুদ চাষের জমি গোপালগঞ্জে ৬ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড নড়াইলে বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের নিয়ে আর্ট ক্যাম্প চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো শুরু হচ্ছে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-২৩
  • ৩১৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আধুনিক যুগে ডিজিটাল সংযোগ হচ্ছে অগ্রগতির চাবিকাঠি।
তিনি বলেন,  প্রত্যন্ত অঞ্চলের  গ্রামীণ জনগোষ্ঠীসহ দেশের প্রতিটি গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে ‘আমরা দেশের শতকরা ৯৮ভাগ অঞ্চল ৪জি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছি। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে। বাণিজ্িযকভাবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে বাংলাদেশ  কাজ করছে।’
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আজ বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ তার দপ্তর থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে   হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘ কানেক্ট দ্য আনকানেক্টেড মেকিং রিমোট কানেকসনস, পলিসি, টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন এন্ড মাল্টিপার্টি কো-আপরেশন’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন।
প্যানেল আলোচনায় বেলজিয়াম, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া এবং কম্বোডিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেলিকম মন্ত্রী, ডিজিটাল প্রযুক্তি গবেষক ও ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের অংশীজনরা অংশ গ্রহণ করেন।
মোস্তাফা জব্বার দেশের ডিজিটাল সংযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে সরকারের  গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযোগ ও প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ২০২১ সালে সফলতার সাথে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন বিকাশের অভিযাত্রা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০১৩ সালে থ্রিজি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে। 
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী এবং  হাওর, দুর্গম চর-দ্বীপ ও পার্বত্য  অঞ্চলে উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছানো খুবই কঠিন কাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌছানোর চ্যালেঞ্জ  সফলতার সাথে মোকাবেলা করছি।’
কম্পিউটারে বাংলাভাষার প্রবর্তক মোস্তাফা জব্বার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী গ্রীণ টেলিকম ডিভাইস প্রতিষ্ঠায় সরকারের গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন,‘পরিবেশ ও প্রতিবেশ বান্ধব নিরবচ্ছিন্ন  টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠা আমাদের লক্ষ্য’।  তিনি কোভিডকালে দেশের মানুষের জীবন যাত্রা সচল রাখতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফলতার চিত্র আলোচনায় তুলে ধরেন। 
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ফাইভ-জি প্রযুক্তিকে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের হাতিয়ার হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, গোটা পৃথিবী টেলিকম ইন্ডাষ্ট্রির বিদ্যমান  চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
এ অনুষ্ঠানে টেলিকম বিশেষজ্ঞরা বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসসহ  জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় স্মার্ট ফ্যাক্টরি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব  আরোপ করে বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি কার্বণ নিঃসরণ হ্রাসে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat