×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-২৯
  • ৪২০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

মিলিটারী ইনস্টিটিউট অব সাই›স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধাসহ ৪টি ভবন নির্মিত হয়েছে। 
নতুন নির্মিত ভবনের মধ্যে রয়েছে ফ্যাকাল্টি টাওয়ার ৩ ও ৪, এ্যাডমিন টাওয়ার এবং হল অব এফএএমই।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ভবনের উদ্বোধন করেন।
এমআইএসটির প্রাক্তন কমান্ড্যান্টবৃন্দ, সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররাসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৯ সালে নতুন কোন অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়াই সেনাবাহিনীর নিজস্ব স্থাপনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন ছাত্র অফিসার নিয়ে মিরপুর সেনানিবাসে এমআইএসটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ৪টি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে মোট ২ হাজার ৯১৭ জন ছাত্র/ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি এমআইএসটিতে ৮টি বিভাগে এমএসসি, ৩টি বিভাগে এমফিল এবং ৭ টি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু আছে। 
মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানা হয়েছে।
এতে বলা হয়, স্থাপনা উদ্বোধনের মাধ্যমে এমআইএসটির প্রতিটি অনুষদের বিপরীতে একটি করে স্বতন্ত্র টাওয়ার বিল্ডিং এর একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। উদ্বোধনকৃত ফ্যাকাল্টি টাওয়ারগুলোতে সর্বাধুনিক (স্টেট অব আর্টস) গবেষণাগারও রয়েছে। যা এমআইএসটি তথা বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিশেষ অবদান রাখবে। 
এছাড়াও হল অব ফেমের দেয়ালে সংরক্ষিত হয়েছে এমআইএসটির প্রতিষ্ঠার সময় থেকে এপর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলকসমূহ, সকল স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের নাম, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলোর উল্লেখযোগ্য সাফল্য। সেনাপ্রধানের উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল এমআইএসটির পেট্রোলিয়াম ও লুব্রিকেটিং স্টেটিং ল্যাব। যা বাংলাদেশে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়ামজাত জ¦ালানির সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একই সাথে তিনি সাইবার সিকিউরিটিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত সাইবার রেঞ্জও পরিদর্শন করেন।
নতুন উদ্বোধনকৃত প্রশাসনিক ভবনে ৪৫ হাজার বর্গফুটের এমআইএসটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি রয়েছে। লাইব্রেরির একটি অংশে একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রায় চার হাজার বই সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। যাতে আগামী প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়াররা জাতির জনকের জীবন-কর্মকান্ড এবং স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে। একই সাথে লাইব্রেরিতে আনুমানিক দুই হাজার পাঁচশ’ বই নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ ‘শেখ রাসেল আঙ্গিনা’। যা শেখ রাসেল সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের জানতে সাহায্য করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat