×
ব্রেকিং নিউজ :
স্বাধীনতার ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী নীলফামারীতে গোপন বৈঠককালে জামায়াতের তিন নেতা গ্রেপ্তার রবীন্দ্রনাথ বর্তমানে বিশ্বে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী হাবিবের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগের টিকিট পেল গাজী গ্রুপ টাঙ্গাইলে সম্প্রসারিত হয়েছে আদা ও হলুদ চাষের জমি গোপালগঞ্জে ৬ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড নড়াইলে বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের নিয়ে আর্ট ক্যাম্প চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো শুরু হচ্ছে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-১২-০৪
  • ২৫৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাটির প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। 
তিনি বলেন, গত প্রায় তিন বছর যাবৎ সারা পৃথিবীতে করোনা অতিমারির দুর্যোগ ও বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গোটা বিশ্বে খাদ্য সংকট প্রকট হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এর সাথে রয়েছে পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক জলবায়ুর সমস্যা। বর্তমান সময়ের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। আর খাদ্য উৎপাদনের মূল উপাদান মাটি। তাই মাটির প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।’
আগামীকাল ৫ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২২’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মাটি : খাদ্যের সূচনা যেখানে’ বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি।’   
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর। বাংলাদেশের মাটিকে খাঁটি সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন ‘আমাদের দেশের জমি এত উর্বর যে, ‘বীজ ফেললেই গাছ হয়, গাছ হলে ফল হয়। সে দেশের মানুষ কেন ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাবে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। 
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হচ্ছে, যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে। সারসহ কৃষিতে দেয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ আর্থিক উন্নয়ন সহায়তা। পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য নেয়া হয়েছে নানা প্রকল্প। এ সকল কার্যক্রমের সাফল্য নির্ভর করবে মাটির সুস্বাস্থ্যের ওপর। যেহেতু ক্রমাগতভাবে আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে এবং আবাদি জমির পরিমাণ কমছে, তাই উন্নত জাত ও ফসল নিবিড়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে অধিক খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। 
শেখ হাসিনা বলেন, মাটির প্রতি যতœশীল না হলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। মাটির উর্বরতা ও উৎপাদনশীলতা বজায় রেখে অধিক ফসল উৎপাদন করতে হবে। মাটিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার পরিহার করে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের মাধ্যমে মাটির সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব যে পরিস্থিতি অতিক্রম করছে, তা উন্নত-অনুন্নত নির্বিশেষে সকল দেশের অর্থনীতির জন্য এক বিরাট হুমকি। এই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। মাটির উর্বরতা বজায় রেখে অধিক খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২২’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat