×
ব্রেকিং নিউজ :
খাল পাড়ে বৃক্ষরোপণ ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে : মেয়র তাপস তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের জন্য বিশেষ কোটা চালু করা হবে : পলক হজ কর্মসূচি-২০২৪ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় বৃদ্ধি শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী সারাদেশে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন : চলছে গননা মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০১-২৪
  • ৫০৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি :- নড়াইলে চিংড়ি চাষ এখন হুমকির মুখে। চিংড়ি চাষে হতাশ নড়াইলের চাষিরা চিংড়ি চাষে রীতিমতো হতাশ নড়াইল জেলার চাষিরা। খাবারের দাম বৃদ্ধি এবং চিংড়ির বাজারদাম কমে যাওয়ায় নড়াইলে চিংড়ি চাষ এখন হুমকির মুখে। চিংড়ি চাষিরা জানিয়েছে এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই নব্বই শতাংশ চাষিই বন্ধ করে দিবেন চিংড়ি চাষ। জেলা মৎস্য অফিস জানায়, জেলার তিনটি উপজেলাতে মোট পাঁচ হাজার তিন শতাধিকের বেশি চিংড়ির ঘের রয়েছে৷ এসব ঘেরে মূলত গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়। সাদা মাছের সাথেও চাষ হয় চিংড়ি। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে।
জেলার চিংড়ি চাষিরা জানান, করোনার পর থেকে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। আগে যে খাবার কিনেছেন ১ হাজার টাকায়৷ সেই খাবার এখন কিনতে হচ্ছে প্রায় ১৫শ টাকায়। বাকি নিলে প্রতি বস্তায় আরও এক থেকে দেড়শ টাকা বেশি দিতে হয়। অন্যদিকে আগে যে চিংড়ি বিক্রি করেছেন ১ হাজার টাকায় সেই চিংড়ি এখন বিক্রি করছি ৬শ টাকায়। ফলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রত্যেকর ঋণের বোঝা বাড়ছে৷ অধিকাংশ চাষি চিংড়ি চাষ বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করছেন।
এছাড়াও চিংড়ির উৎপাদন বেশি হলে তখন পাইকারি ক্রেতারা এক হয়ে দাম কমিয়ে দেয়। এ অবস্থায় খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারলে নড়াইলে চিংড়ি চাষ করে ভালো কিছু করতে পারবেন চাষিরা।
তবে চিংড়ি কিনতে আসা পাইকাররা বলছেন লোকসানে রয়েছেন তারা। যেসব কোম্পানিতে চিংড়ি দেন সেখানে ভালো দাম পাচ্ছেন না। তাদের চাহিদাও আগের মতো নেই। চাহিদা না থাকায় দাম কম হচ্ছে বলেন জানান তারা।
নড়াইলের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ.এম. বদরুজ্জামান বলেন, এ জেলার পানি মিঠা হওয়ায় গলদা চিংড়ি বেশি চাষ হয় যা খুবই সুস্বাদু। এক্সপোর্ট চ্যানেল বাদেও দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে যায় এই চিংড়ি। চিংড়ির দাম রফতানির সাথে জড়িত থাকার ফলে চাহিদা বেশি হলে দামও বেশি হয়। চাহিদা কম হলে আবার দাম কমে যায়। চিংড়ির প্যাকেটজাত খাবারের অধিকাংশ বাইরে থেকে আসে। বৈশ্বিক কারণে সবকিছুরই দাম বেড়েছে। ফলে চাষিদের খরচও বেড়েছে। তবে আমরা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি বাড়িতে তৈরি খাবার চিংড়িকে খাওয়ানোর জন্য। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat