×
ব্রেকিং নিউজ :
অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক পহেলা বৈশাখ আমাদের মূল চালিকাশক্তি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসম্ভব স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন : অর্থ প্রতিমন্ত্রী চরম ব্যাটিং ধসে ১৪৩ রানে শেষ বাংলাদেশ ডেভিড স্লেটন মিল বাংলাদেশে মার্কিন বিশেষ রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হাবিবুর রহমান মোল্লার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত ডিজিটাল হজ্জ ব্যবস্থাপনা প্রধানমন্ত্রী নিজেই তদারক করছেন : পলক আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাবে : ওবায়দুল কাদের গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি’তে সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ এর ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত ৭ মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু পথনির্দেশ দিয়েছিলেন : গণপূর্তমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৪-২০
  • ২৩৪৩৩০৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার বেলা তিনটায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার সন্ধা ৬ টায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপপ্রবাহে জনসাধারণের সতর্ক ও সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করে মাইকিং করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এ চলমান তাপপ্রবাহে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা একটু কাজ করেই ছায়া শীতল পরিবেশ বিশ্রাম নিচ্ছে।
জেলাতে আপাতত কোন প্রকার বৃষ্টির সম্ভবনা নাই বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। বর্তমানে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলাজুড়ে অনুভূত হচ্ছে মরুর উষ্ণতা। টানা চার দিন চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করে ৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছালো। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। গত মঙ্গল ও বুধবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৬ ও ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছরের ১৯ ও ২০ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অতি তীব্র দাবদাহ। কাছাকাছি সময়ে বৃষ্টি না হলে
গত বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে যেতে পারে।
প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা শিমুল আহমেদ বলেন, আমরা মরুভূমিতে আছি। গত এক সপ্তাহ ধরে যে গরম পড়ছে, তাতে চলাফেরা ও কাজকর্ম করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলুকদিয়ার ভ্যানচালক লুৎফর রহমান বলেন, সকাল ৬টায় বের
হয়েছি। বেলা ১১টা পর্যন্ত একটু ভাড়া হয়েছে। এরপর গরম বেশি হওয়ায় আর ভাড়া পাচ্ছি না। তাই গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছি। ভাড়া হচ্ছে না কি করবো, সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়ছে। কুলচারা গ্রামের কৃষক লিটন বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধান চাষে বেশি খরচ হবে বলে জানালেন তিনি। কারণ, এখন ধান পাকার সময়। জমিতে পানি দেয়ার পরপরই শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে পানি না থাকলে ধান ঝরে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তাই জমিতে বেশি বেশি করে পানি দিতে হচ্ছে।
এদিকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান দাবদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগেই গরমে ছুটির দাবি করেছেন কেউ কেউ। দাবদাহের ব্যাপারে ইতিমধ্যে অধিদপ্তরে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় চলমান দাবদাহের বিষয়টি অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। তবে এখনও কোন নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat