×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৮-১৫
  • ৬৩৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও  ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৪৯৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শনিবার এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নয়টি ল্যাবে চট্টগ্রামের ২ হাজার ৩০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৪৯৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭৪ জন এবং ১২ উপজেলার ২২৪ জন রয়েছে। ফলে জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৯৪ হাজার ৮৪৮ জন হলো । সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৯ হাজার ৬১২ জন ও গ্রামের ২৫ হাজার ২৩৬ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ২২৪ জনের মধ্যে রাউজানে সর্বোচ্চ ৫০ জন, হাটহাজারীতে ৩৬ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩১ জন, সাতকানিয়ায় ৩০ জন, লোহাগাড়ায় ২৪ জন, আনোয়ারায় ১৩ জন, পটিয়ায় ১০ জন, সীতাকু-ে ৯ জন, মিরসরাই ও ফটিকছড়িতে ৭ জন করে, বাঁশখালীতে ৪ জন ও বোয়ালখালীতে ৩ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শহরের ২ ও গ্রামের ৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১২১ জন। এর মধ্যে ৬৪৭ জন শহরের ও ৪৭৪ জন গ্রামের বাসিন্দা। এ সময়ে আরোগ্য লাভ করেছেন ৫৬৮ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৬১ হাজার ৫০২ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৮ হাজার ৮৪৫ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫২ হাজার ৬৫৭ জন। হোম আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩৮৮ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩৭৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪ হাজার ৪১৭ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৮৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৮৫ ও গ্রামের ৫৭ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩২৩ নমুনায় শহরের ৪৯ ও গ্রামের ৯ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৩২২ টি নমুনার মধ্যে শহরের ২৯ ও গ্রামের ৮১ টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে (সিভাসু) ২৫৪ জনের নমুনায় শহরের ৩০ ও গ্রামের ৩৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২০৬ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ১৪ ও গ্রামের ২৯ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১৮ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ ও গ্রামের ৪ টি পজিটিভ বলে চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে গ্রামের ৩ জনসহ ২০ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৭ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ১৫ টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪৯ নমুনায় গ্রামের একটিসহ ১৪ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৮ টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৩ টিসহ ২৪ টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রামের ১৪ টি নমুনা এদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় ৩ টির রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
নগরীর অপর বেসরকারি পরীক্ষা কেন্দ্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৭ দশমিক ১১ শতাংশ, চমেকে ১৭ দশমিক ৯৫, চবি’তে ৩১ দশমিক ০৫, সিভাসু’তে ২৪ দশমিক ৮০, এন্টিজেন টেস্টে ২০ দশমিক ৮০, আরটিআরএলে ৩৩ দশমিক ৩৩, শেভরনে ১১ দশমিক ১১, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩১ দশমিক ৯১, মেডিকেল সেন্টারে ২৮ দশমিক ৫৭, এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ৪১ দশমিক ৩৮ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে সংক্রমণ হার ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat