×
ব্রেকিং নিউজ :
হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্ব অপরিহার্য : রাশেদ খাঁন ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৯-০৩
  • ৭২৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার দশ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। সংখ্যায় ও আড়াই মাসের মাসের মধ্যে গত দু’দিন সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। 
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন দুই জন ও করোনামুক্ত হন ৫৫২ জন। হোম আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে নতুন করে যুক্ত হন ১৭২ জন। ছাড়পত্র নেন ৪০৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৭৫৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট অনুয়ায়ী, গতকাল বৃহ্সতিবার এন্টিজেন টেস্ট ও আটটি ল্যাবে ১ হাজার ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১৪০ জনের মধ্যে শহরের ৮১ এবং ১৩ উপজেলায় ৫৯ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৯ হাজার ৭৬৬ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭২ হাজার ৫০৪ ও গ্রামের ২৭ হাজার ২৬২ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৫৯ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ফটিকছড়িতে ১৮, হাটহাজারীতে ১৬, সীতাকু-ে ৮, বোয়ালখালীতে ৬, রাউজান ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং মিরসরাই, সন্দ্বীপ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শহর ও গ্রামের একজন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৩৯ জন। এর মধ্যে ৬৯৩ জন শহরের ও ৫৪৫ জন গ্রামের। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৫৫২ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৭৩ হাজার ১২৭ জনে উন্নীত হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৮৭১ ও বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬৩ হাজার ২৫৬ জন। 
উল্লেখ্য, গতকালের ২ জনসহ এ মাসের প্রথম দু’দিনে কভিড-১৯ এ ৭ জন মৃত্যুবরণ করেন। আক্রান্ত হন ২৮০ জন এবং আরোগ্যলাভ করেন ১ হাজার ১৩৫ জন। 
রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে শহরের ২৯ ও গ্রামের ২৮ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৩ ও গ্রামের ৯ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনায় শহরের ১৭ ও গ্রামের ১৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। ১৮ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ২ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৪ জনের নমুনায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।  
এদিকে, বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৬৪ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ ও গ্রামের ১টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫ নমুনার মধ্যে শহরের ৪টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ২৯ নমুনায় শহরের ৬ ও গ্রামের ২টিতে ভাইরাসের প্রমাণ মিলে। 
চট্টগ্রামের ৫৪টি নমুনা এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের একটির পজিটিভ এবং বাকীগুলোর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। 
তবে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ, চমেকে ৯ দশমিক ৬৭, সিভাসু’তে ১৭ দশমিক ৫৫, এন্টিজেন টেস্টে ১১ দশমিক ১১, আরটিআরএলে ০ শতাংশ, শেভরনে ০ দশমিক ৮২, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৭ দশমিক ৫৮ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat