পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার মরুময়তা, ভূমি ক্ষয় ও খরা মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
আজ আগারগাঁওস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরে ‘ন্যাশনাল রোডম্যাপ ফর কমব্যাটিং ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, প্রকল্প পরিচালক, ড. মুঃ সোহরাব আলি, প্রকল্প পরিচালক, ড. মুঃ সোহরাব আলি, সাবেক সচিব প্রফেসর ড. জহুরুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ভূমি ব্যবহার মানচিত্র হালনাগাদকরণ, ভূমি ক্ষয়ের কারণ ও সূচক চিহ্নিতকরণ, ক্ষয় রোধ, প্রশমণ বা পুনঃ ব্যবহার যোগ্য করণের মাধ্যমে ভূমি অবক্ষয়মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভূমি অবক্ষয় রোধ করার জন্য প্রণীত আলোচ্য রোডম্যাপে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে চিহ্নিত ৮টি থিমেটিক এরিয়ায় সমন্বিতভাবে কাজ করে ভূমি অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ভূমি অবক্ষয় সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন সকল অংশীজনের কার্যকরী প্রচেষ্টা। এলক্ষ্যে, সাসটেইনেবল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটির মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনিস্টিটিউট, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সিইজিআইএস স্ব স্ব কর্ম পরিধির মধ্যে থেকে কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক টেকসই ভূমি ব্যবহার প্রযুক্তি আছে যার মাধ্যমে আমরা ভূমি অবক্ষয় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হব। ইকোসিস্টেম বেজড্ এপ্রোচেস টু এডাপ্টেশন কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ক্ষুদ্র আয়তনের বৃহৎ জনসংখ্যার এই দেশে ভূমির অবক্ষয় রোধ করতে সবাইকে একযোগে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জনান তিনি।