চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কর্পোরেশনের মার্কেটসমূহের দোকান বরাদ্দের জন্য যুগোপযোগী যে নীতিমালা প্রণীত হচ্ছে তা অনুসরণের মাধ্যমে চসিকের মার্কেটগুলোর দোকান বরাদ্দের প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল হবে।
তিনি আজ সোমবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে তাঁর দপ্তরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মার্কেট উপ-আইন খসড়া পর্যালোচনাপূর্বক মতামত গ্রহণের নিমিত্তে আয়োজিত সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দোকান বরাদ্দের প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নির্মিত মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্থদের অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা, নারী উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রতিবন্ধীদের একটি নির্দিষ্ট অংশ বরাদ্দ দেয়ার যে বিধান রয়েছে তা যা যথাযথ প্রতিপালন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইতিপূর্বে কয়েকটি সিটি কর্পোরেশনে মন্ত্রাণালয়ের অনুমোদন ভিত্তিতে মার্কেট উপ-আইন প্রণীত হয়েছে যা প্রয়োগ করা হচ্ছে। অথচ চসিক বারবার নীতিমালা প্রণয়নে দীর্ঘসূত্রিতার আবর্তে পড়ে আছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও চসিকের এই নীতিমালা প্রণয়নে মার্কেট বরাদ্দ ও ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নীতিমালার ব্যাখ্যায় মেয়র উপস্থিতিকে অবগত করেন, নীতিমালাটি স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ সালের ধারা ১২২-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারের নির্দেশক্রমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২৯ টি অনুচ্ছেদ সম্বলিত উপ-আইন আকারে প্রণয়ন করা হয়েছে। মার্কেটে দোকান বরাদ্দের জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি দোকান বরাদ্দ কমিটি থাকবে। কমিটি দোকান বরাদ্দের সুপারিশ প্রণয়ন ও অনুমোদনের জন্য মেয়রের নিকট উপস্থাপন করবে। উপবিধি-৬ ধারায় দোকান বরাদ্দের অনুপাতের ক্ষেত্রে মার্কেট বা ভবন নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার ভিত্তি দোকান বরাদ্দ প্রদানের বিধান রয়েছে। মার্কেটের অবশিষ্ট দোকানগুলোর ৭০ ভাগ সাধারণ প্রার্থীদের দেওয়া হবে যার মধ্যে ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা পাবেন। বাকি ৩০ শতাংশ মেয়র বা প্রশাসক বরাদ্দ দেবেন, তন্মধ্যে ৫ ভাগ দোকান সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বা তার পরিবারের সদস্য বা জাতীয় পর্যায়ে অবদান রেখেছেন এরূপ কোন ব্যক্তি বা তার পরিবারের সদস্য, ৩ শতাংশ কর্পোরেশন বা স্থানীয় সরকার বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এবং ২ শতাংশ দোকান প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা খাতুন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ।