×
ব্রেকিং নিউজ :
ভাষা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম অংশ : প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক ঝালকাঠিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬৫ জন নারীকে ল্যাপটপ প্রদান গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদযাপন মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাঙ্গালির আত্মপরিচয় বিকাশের মূলেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক : স্পিকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী এমপি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায় : ভূমিমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২১-১২-০৯
  • ৩৫৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী  বলেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে একযোগে কাজ করতে হবে। জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এ কথা বলেন। 
তিনি বলেন, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রতিটি পরতে পরতে জড়িত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষার মর্যাদা প্রদানের জন্য তিনি সর্বাত্মকভাবে সম্পৃক্ত থাকায় তাকে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয়েছে। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু সর্বাগ্রে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ এর ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে উজ্জ্বীবিত করে। ২৫ মার্চ গণহত্যা, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। তাই, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন জাতির জন্য গৌরবজ্জ্বল একটি অধ্যায়। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য, শোষণ-বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান তিনি।  
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার ৪০ভাগ থেকে ২১ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কৃষি ভর্তুকি প্রদান, ১০টাকায় কৃষকের জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা, উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, গৃহহীন মানুষের ঘর নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জিত হইয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন,  নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, কর্ণফুলি টানেল নির্মাণ, অর্থনৈতিক সূচকে প্রবৃদ্ধি, রেমিটেন্স, পায়রা বন্দর নির্মাণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের সফলতা সারা বিশ্বে প্রশংসিত। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। কোভিডকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রনোদনা প্যাকেজসহ অন্যান্য পদক্ষেপের কারণে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবন সুরক্ষিত ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে  আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মদ চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ এমপি, মোজাফফর হোসেন এমপি, হোসনে আরা এমপি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat